BRAKING NEWS

সীমান্ত অতিক্রম করে সোনামুড়ার যুবকেক অপহরণ করে ওপাড়ে নিয়ে গেল বাংলাদেশী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুন৷৷ ভারতীয় এক নাগরিককে অপহরণ করে বাংলাদেশ নিয়ে গেছে বাংলাদেশের দুসৃকতিকারীরা৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোনামুড়া থানাধীন শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সীমান্ত এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা রাশেদ আলম গত ৫ জুন সীমান্তের ওপারে তার পুকুরের যাওয়ার সময় বাংলাদেশর সীমান্ত রক্ষী বিজিবি তাকে যেতে বাধা দেয়৷ রাশেদ আলম নাকি বলেছিল অবৈধ মালামাল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে, অথচ আমি আমার পুকুরে যেতে পারছি না কেন? আমি তোমার নামে উপর মহলে অভিযোগ জানাবো বলেছিল রাশেদ আলম৷


এই নিয়ে বিজিবির সাথে কথা কাটাকাটি হয় রাশেদ আলমের৷ তখন নাকি বিডিআর হুমকি দিয়েছিল তুকে আমি তুলে নিয়ে যাবো৷ তার পর সে বাড়িতে চলে আসে৷ ঘটনার দুই পর ৭ জুন একজন অপরিচিত লোক নাকি রাশেদ আলমের বাড়িতে আসে৷ সে পাঠিট বিক্রি করতে এসেছে বলে রাশেদ আলমকে বলে৷ অপরিচিত ওই লোকটিকে দেখে রাশেদ আলম বলেছিল তোমাকে দেখে তো পাটি বিক্রেতা মনে হয় না৷ তুমি কেন এসেছো আমার বাড়িতে৷এ নিয়ে পাঠি বিক্রেতার সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়৷


পরবর্তীতে পাটি বিক্রেতা নাকি সীমান্তের ওপারে গিয়ে কামাল হোসেন নামের এক বাংলাদেশী ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এসে রাশেদ আলমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়৷রাশেদ আলমের স্ত্রী আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷তার স্ত্রী চিৎকার শুনে আশে পােেশর মানুষ আসার আগেই সীমান্ত পার হয়ে যায়৷ রাশেদ আলমকে নাকি বিজিবির হাতে তুলে দেয় অপহরণকারীরা৷ তারপর বিডিআর রাশেদ আলমকে নিয়ে চলে যায়৷ রাশেদ আলমের দুই সন্তানও রয়েেেছ৷ পুরো ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানায় রাশেদ আলমের স্ত্রী খুরশেদা বেগম৷


এ বিষয়ে মহকুমার শাসক থেকে শুরু করে বিএসএফর ক্যাম্পে জানানোর ৭ দিন অতিক্রম হলেও কোনো খোজ নেই রাশেদ আলমের৷এখন প্রশ্ণ হলো ভারতীয় জোয়ানরা পাহাড়ায় থাকা অবস্থায় কিভাবে বাংলাদেশের মানুষ ভারতে প্রবেশ করে অপহরণ এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে৷ অপহৃত ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করার জন্য পরিবার ও এলাকাবাসীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে৷ তাকে উদ্ধার করতে না পারায় পরিবাার-পরিজনদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *