BRAKING NEWS

কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন ডিডিটি কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মে৷৷ কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ভুগছে ডিডিটি কর্মীরা৷ ফলে ক্ষোভ বাড়ছে দক্ষিণ জেলা ডিডিটি কর্মীদের মধ্যে৷ দফায় দফায় আলোচনার পর কাজের সুরাহা না পেয়ে অবশেষে দক্ষিণ জেলার ম্যালেরিয়া অফিসার সুব্রত দাসকে স্পষ্ট ভাষায় ডিডিটি কর্মীরা জানিয়ে দেন কাজ যদি করতে হয় সবাইকে কাজ দিতে হবে তা না হলে আমরা কেউই কাজ করবো না৷ ২০১৮ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের ভিশন ডকুমেন্ট প্রতিশ্রুতি ছিল চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দের নিয়মিত করা৷ তিন বছর হয়ে গেল , নিয়মিত করা তো থাক দুরের কথা বর্তমানে যে সকল শ্রমিক কাজ করছে তারাও কর্মহীন হয়ে পড়ছে৷ গত দীর্ঘ বছর যাবৎ ডিডিটি কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয়নি৷


বর্তমানে কাজের অভাব দেখা দিচ্ছে ডিডিটি কর্মীদের৷ প্রশ্ণ-উঠতে শুরু হয়েছে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে নাকি রাজ্য সরকার? এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাব ডিডিটি কর্মীদের মধ্যে৷ এ কাজ করে এই কোনমতে সংসারের প্রতি পালন করছে তারা৷ কাজ হারালে না খেয়ে মরতে হবে তাদের৷ এমত অবস্থায় রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করছে ডিডিটি কর্মীদের কাজ দেওয়ার৷ দক্ষিণ জেলাতে ডিডিটি শ্রমিকের ৩৩ টি দল আছে৷ প্রতি দলের ৬জন করে মোট ১৯৮ জন ডিডিটি শ্রমিকের সংখ্যা৷ চলতি বছরে ডিডিটি স্প্রে এর কাজ ৭৫ দিন করে দুই রাউন্ডে কাজ আসলো মোট ১৬ টি দলের ৯৬জন শ্রমিক কাজ করতে পারবে৷ বাকি সাতটি দলের ১০২ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ভুগছে৷ দফায় দফায় আলোচনা৷ আলোচনার পরও কাজের কোনো সুরাহা না হওয়ায় ডিডিটির শ্রমিকেরা কাজ করতে নারাজ৷ শনিবার দুপুরে দক্ষিণ জেলার ম্যালেরিয়া অফিসার ডিডিটি শমিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন৷ সেখানেও শ্রমিকদের দাবি যদি কাজ করতে হয় সবাইকে দিতে হবে তা না হলে করব না৷ দীর্ঘক্ষন আলোচনার পর কোন ডিডিটি কর্মীরা কোনো সুরাহা না পেয়ে অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়৷ ক্ষুব্দ ডিডিটি কর্মীরা জানান দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি৷ চলতি বছরের কাজ নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে ভুগছি৷ রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান সব ডিডিটি কর্মীদের কাজ দেওয়ার৷


অপরদিকে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জেলার ম্যালেরিয়া অফিসার সুব্রত দাস এর সাথে সাক্ষাত করে ডিডিটি শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়ে জানতে গেলে ম্যালেরিয়া অফিসার অকপটে স্বীকার করেন আগে দক্ষিণ জেলাতে ১১০০টি ডিডিটি ব্যাগ আসতো৷ বর্তমানে ৪৪৮ টি ডিডিটি ব্যাগ বরাদ্দ হয় পঁচাত্তর দিন কি করে দুই রাউন্ডে ডিডিটি ছড়ানোর জন্য৷ তাও নির্দিষ্ট করে বলা দেওয়া হয়েছে ১৬টি টিম কাজ করতে পারবে যেসব অঞ্চলে ম্যালেরিয়া প্রাদুর্ভাব বেশি সে সব অঞ্চলেই ডিডিটি ছড়ানো হবে৷ সোমবার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল৷ শ্রমিকরা কাজ করতে রাজি না হওয়ায় শুরু করা যায়নি৷ এ ব্যাপারে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান ম্যালেরিয়া অফিসার সুব্রত দেবনাথ৷ দীর্ঘ বছর যাবত দক্ষিণ জেলার ১৯৮ জন ডিডিটি কর্মী কাজ করে আসছে দক্ষিণ জেলাতে৷ কিন্তু বর্তমান সময়ে ৯৬ জন ডিডিটি কর্মীদের জন্য কাজ আসলেও বাকি ১০২ জন ডিডিটি কর্মীরা কর্মহীন হয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে আছে৷ স্বভাবতই প্রশ্ণ উঠতে শুরু হয়েছে তাদের মধ্য থেকেও কি ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *