BRAKING NEWS

ফের ভূমিকম্প অসমে, মৃদু ঝাঁকুনি রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়, উত্তরপূর্বে এমন ছোটোখাটো কম্পন হবে, বলেছেন ভূবিজ্ঞানী

গুয়াহাটি, ১৫ মে (হি.স.) : ফের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে অসমের বিস্তার্ণ অঞ্চল। শনিবার সকাল ৮টা ৩৩ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৯। আজকের ভূমিকম্পেরও অভিকেন্দ্ৰ ছিল শোণিতপুর জেলা। ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল শোণিতপুর জেলা সদর তেজপুর থেকে প্রায় ৪১ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমে ভূগৰ্ভের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ২৬.৭৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৩৯ দ্রাঘিমাংশে।

এদিকে ভূমিকম্পে পার্শ্ববর্তী নগাঁও, মরিগাঁও, কারবি আংলং, হোজাইয়ের পশাপাশি গুয়াহাটি কেঁপে উঠেছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ২ মে মধ্যরাত রাত থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত পর পর চারবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছিল সমগ্ৰ রাজ্য। সেদিনের ঘটনায় শোণিতপুর জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা এবং গুয়াহাটিতে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর পর বিভিন্ন দিন দফায় দফায় আরও পাঁচবার ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল অসম, সিকিম সহ উত্তরপূর্বের কয়েকটি রাজ্য।

গত প্রায় বছরখানেকের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ক্রমাগত ভূমিকম্প হচ্ছে। অসমের শোণিতপুর জেলা এবং অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মণিপুরে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৮৭ বার ভূমিকম্প হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির আধিকারিক আরকে সিং দাবি করেছেন, সিসমিক জোন ৫-এ অবস্থিত হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায়ই ছোটখাটো কম্পন অনুভূত হয়। এতে অস্বাভাবিক এবং আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কারণ নেই।

তাঁর কথায়, ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ৫ সেন্টিমিটার করে সরে। এতে ঘর্ষণ হয়। ফলে ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। তাঁর দাবি, অরুণাচল প্রদেশের উত্তর দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সেখানে ভূমিকম্প হচ্ছে। তেমনি মণিপুর ও মিজোরামের পূর্ব দিকে মায়ানমার অঞ্চলে ক্রমাগত ঘর্ষণে ভূমিকম্প হয়। তার প্রভাবে ওই দুই রাজ্যেও ঘন ঘন ভূকম্প অনুভূত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্কতাই একমাত্র অবলম্বন বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *