BRAKING NEWS

অশান্তির মধ্যেই শেষ হল তৃতীয় দফার নির্বাচন, ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় ৭৮ শতাংশ

কলকাতা, ৬ এপ্রিল (হি.স.): মঙ্গলবার দিনভর কোথাও বিক্ষোভ, বোমাবাজি, ভাঙচুর ও একাধিক প্রার্থী আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে শেষ হল তৃতীয় দফায় ৩১ আসনের  নির্বাচন । তৃতীয় দফার নির্বাচনে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৭.৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে হুগলিতে একই সময়ের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৯.২৯ শতাংশ। হাওড়াতে ভোট পড়েছে ৭৭.৯২ শতাংশ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৬.৭৪ শতাংশ। তৃতীয় দফায় তিন জেলার ৩১ আসনে নির্বাচন হচ্ছে মঙ্গলবার। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র রয়েছে। হুগলিতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গোঘাটে। ৮৪.৭১ শতাংশ। আরামবাগে ভোট পড়েছে ৭৯ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৫.১৭ শতাংশ। তবে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে বাসন্তীতে। ৮০.২৬ শতাংশ। হাওড়ার উলুবেড়িয়া দক্ষিণে ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্য ভোটদানের হার রয়েছে হুগলির পুরশুড়া কেন্দ্রেও। সেখানে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ। ৫টা পর্যন্ত হরিপাল কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৫.৩৮ শতাংশ। এমনটাই জানা গেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে ।  


মঙ্গলবার সকাল ৭ থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয় । প্রথম দুই দফায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। প্রথম দফায় ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়ে, দ্বিতীয় দফায় পড়ে ৮৬ শতাংশের উপর। তৃতীয় দফাতেও সেই ধারা বজায় রেখে সকাল থেকে দফায় দফায় বেড়েছে ভোটের হার । তবে তৃতীয় দফার ভোটেও চেনা ছবির সাক্ষী থাকল বাংলা।  ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তৃতীয় দফায় ৩১ আসনের কোথাও বিক্ষোভ, বোমাবাজি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও হিংসার জেরে প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছে কমিশন ।  কমিশনের দাবি, কয়েকটি জায়গা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। তিনি জানান, তৃতীয় দফায় নির্বাচনে মোট ২০৫ জন প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মোট ভোট হয়েছে ৭৭.৬৮ শতাংশ। উলুবেড়িয়ায় ভিভিপ্যাড এবং ইভিএম পাওয়া যায়। এই ঘটনায় চারজনকে সাসপেন্ড ও তিনজনকে হোমগার্ডের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ইভিএম–ভিভিপ্যাট সম্পর্কে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘ওই ইভিএম ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়াও খানাকুল ২২২ ও ২২৫ বুথে এলাকার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরামবাগ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং উলুবেড়িয়ায় দক্ষিণ কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন।’


অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী শ্লীলতাহানি কাণ্ডে একজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এদিন আরিজ আফতাব বলেন, ‘সব কিছুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কন্ট্রোলে থাকে না। সব ঘটনাতেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গোঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদেহ আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’ কলকাতায় আটজন রিটানিং অফিসার বদলির বিষয় কমিশন জানিয়েছে, তিন বছর একটানা থাকার জন্য এই বদলি। আর আজ প্রার্থীদের উপর যে ধরনের আক্রমণ হয়েছে তা উদ্বেগের বিষয়।


মঙ্গলবার দিনভর সংবাদের শিরোনামে ছিল হুগলি । এই জেলায় সকাল থেকেই  বিক্ষিপ্ত অশান্তির চিত্র দেখলো রাজ্যবাসী। কখনও খোদ পার্থীকেই বাঁশ দিয়ে পেটানো হল, আবার কোনোও কোনোও কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ। সকাল ৭ টা গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের শ্যামবাজার এলাকার বেলডিহাতে শ্যমবাজার বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজেপি এজেন্টকে ঢুকতে বাধা।বিজেপির এজেন্ট সহ তিনজনকে মারধোর করা হয় বলে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ। অপরদিকে আহতদের হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠে।অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এরপরই আরামবাগের গৌরহাটি এক অঞ্চলে শুভয়পুর গ্রামে আরামবাগ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পলাশ রায়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে যদিও বিজেপি কর্মীরা জানান তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে এই ঘটনা। আরামবাগ পারুল হাইস্কুলের সামনে বিজেপির এজেন্টের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।


আরামবাগে বিজেপি পার্থী সুজাতা মন্ডলকে মারধোরের ঘটনা ঘটে। এই তৃণমূল পার্থীর অভিযোগ মঙ্গলবার আরামবাগের আরান্ডি গ্রামে তিনি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণে গেলে তাকে বাঁশ নিয়ে তাড়া করেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সুজাতার দাবি, ওই গ্রামে আমাদের ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমি তাদের ভোটদানের ব্যবস্থা করতে গেলে হামলা হয়।এমনকি বাঁশের বাড়ি পড়ে সুজাতাদেবীর মাথায়। মাঠের ওপর দিয়ে দৌড়ে কোনওক্রমে পালান তৃণমূল প্রার্থী। সুজাতাদেবী দাবী করেন  ‘আরামবাগে একাধিক বুথের দখল নিয়েছে বিজেপি। যে সব বুথে আমরা শক্তিশালী সেখানে তৃণমূলে ভোট দিলে বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।


অন্যদিকে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিকে একেবারে বুথের মধ্যে বিজেপি কে ভোট দেবার জন্য বলা হয় ব অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোঘাটের ফুলজলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এর খবর চাউর হতেই ভোটারদের সাথে কেন্দ্রী বাহিনীর গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ সিআরপিএফ এর তরফ থেকে বিজেপিকে ভোট দিতে বলে,এর প্রতিবাদে মারধরও করা হয় ভোটারদের, যদিও সিআরপিএফ এর পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।


এর পাশাপাশি খানাকুলের হীরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে আবার অভিযোগের কাঠগড়ায় তৃণমূল। অভিযোগ, হীরাপুর গ্রামে ৫০০-র মত লোককে আটকে দেয় তৃণমূল।


অভিযোগ, তাঁদের ভোট দিতে বুথে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আধাসেনা জওয়ানরা গিয়ে তাঁদের ভোট দিতে নিয়ে আসে।
হুগলির একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবরের মধ্যে  খানাকুলে তৃণমূল প্রার্থী মুন্সি নাজবুল করিমকে মাটিতে ফেলে চ্যালা কাঠা দিয়ে মার এবং তাঁর এজেন্টকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কাঠগড়ায় বিজেপি।


যদিও বিজেপির তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই কড়া পদক্ষেপ করেছে কমিশন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।


এদিকে  তৃণমূলের বুথ সভাপতির মৃতকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোঘাট। মৃতের নাম সুনীল রায়।  বাড়ি গোঘাটের ফলুই এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত ওই ব্যক্তি তৃণমূলের বুথ সভাপতি ।ছেলে বুথের এ্যজেন্ট। তৃণমূলের অভিযোগ,  এদিন ভোট দিয়ে ফেরার পথে,  বিজেপি কর্মীরা তাকে ঘিরে ঠেলাঠেলি করে। সেখানেই পরে গিয়ে মৃত্যু হয়। বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পনা করেই খুন করেছে বলে অভিযোগ গোঘাটের তৃণমূল প্রার্থীর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। ঘটনাকে ঘিরে ফের রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা গোঘাট জুড়ে।


তারকেশ্বরেও বিজেপি পার্থী স্বপন দাশগুপ্তর নির্বাচনী এজেন্টকে আটকে রেখে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে তৃনমুলের অভিযোগ। হরিপালেও বিজেপি ও তৃনমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ওঠে এলাকা।হাসপাতালে ভর্তি দু’পক্ষেরই। সব মিলিয়ে হুগলি জেলায় এই তৃতীয় দফার ভোটে বিভিন্ন অশান্তির ঘটনার সাক্ষী রইল হুগলি সহ গোটা রাজ্য বাসী।
এদিকে, আজ ভোট ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে । এই জেলার রায়দিঘিতে  সোমবার রাত থেকে বোমাবাজি চলছে। সিপিএম দলের নির্বাচনী এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ করেছেন রায়দিঘির সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিন বলেন, “প্রশাসনের দায়িত্ব শান্তিতে নির্বাচন করানো। সেটা হচ্ছে না। আমাদের পোলিং এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। সোমবার সারা রাত ধরে বোমাবাজি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।”
এদিকে মগরাহাট বিধানসভা কেন্দ্রের এইএসএফ প্রার্থী মঈদুল ইসলাম অভিযোগ করেন তাঁকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বুথের বাইরে ধর্নায় বসেছেন। মঈদুল ইসলামের অভিযোগ, “মগরাহাট খুবই সমস্যা সংকুল জায়গা। দীর্ঘদিন ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি এখানে। আজ তৃণমূলের কর্মীরা ভোটারদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোট প্রভাবিত করা হচ্ছে। ১৮৫ নম্বর বুথে এইএসএফ-এর বুথে এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয় তৃণমূলীরা। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে বুথে এজেন্ট বসিয়ে দিয়ে এসেছি। আমি একজন প্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ২ ঘণ্টা বয়ালের বুথে বসে থাকতে পারেন , তাহলে আমি কেন পারবো না? এখানেও তো তৃণমূলের লোকেরা ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিচ্ছে।”


এদিকে তৃতীয় দফায় ভোট দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে তিন দফার সব বুথে ১৪৪ ধারা। তার পরেও কী করে আবার তৃতীয় দফায় নির্বাচন শুরুর আগের রাট থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি ও মগরাহাট বিদ্ধানসভা কেন্দ্রে অশান্তি হচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে সমস্ত রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পর শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে কী করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হল সেটাই এখন দেখার। তবে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এদিন ভোট ছিল হাওড়া জেলাতেও সেখান থেকেও দিনভর আশান্তির খবর এসেছে।


উল্লেখ্য,  মঙ্গলবার রাজ্যের ৩১ আসনে ভোটগ্রহণ হয় । সেগুলি হল– উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর ও জগৎবল্লভপুর। হুগলিতে ভোট হবে জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ, গোঘাট ও খানাকুল। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কেন্দ্রগুলি হল– বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ডহারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর।  


তৃতীয় দফায় দিনভর আশান্তি হলেও তৃতীয় দফায় অশান্তি এড়াতে ছিল ৮৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । তার মধ্যে ৬১৮ কোম্পানি বুথের নজরদারিতে মোতায়েন করা হয়। বাকি বাহিনীকে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই ছিল ৩০৭ কোম্পানি। এর মধ্যে বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি। হাওড়তেও ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তার মধ্যে ১৩২ কোম্পানি  হাওড়া গ্রামীণে ও হাওড়া কমিশনারেটে  ১১ কোম্পানি। হুগলি গ্রামীণে ছিল ১৬৭ কোম্পানি বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *