BRAKING NEWS

করোনার ভীতি কাটিয়ে বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠল ছাত্রছাত্রীরা

আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.)৷৷ করোনা-র ভীতি কাটিয়ে ত্রিপুরায় বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠলো ছাত্রছাত্রীরা৷ সরস্বতী পূজার আয়োজনে তাদেরকেই অধিক সক্রিয় দেখা যাচ্ছে৷ কারণ, বাজারে ক্রেতার ভিড় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম৷ জিনিসপত্রের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে৷ তবে দ্রব্যমূল্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে৷ অফ সিজন হওয়ায় কিছু ফল দামি বলে মনে হচ্ছে, দাবি জনৈক ফল বিক্রেতার৷ কিন্তু ক্রেতাদের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনও অসন্তোষের ছাপ দেখা যায়নি৷


রাত পোহালেই বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা৷ সে-মোতাবেক বিদ্যালয়গুলি সেজে উঠেছে৷ আজ দুপুর থেকেই মূর্তিপাড়ায় ছিল প্রচণ্ড ভিড়৷ কারণ, সুকল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা বাজনা নিয়ে মূর্তি নিতে হাজির হয়েছে৷ ঢাকের তালে নাচে মাতিয়ে দিয়েছে তারা৷ যতদূর খবর, রাত অবধি মূর্তি নেওয়ার ব্যস্ততা থাকবে৷
জনৈক ছাত্রের কথায়, করোনা-র প্রকোপে বিদ্যালয়গুলি বন্ধ ছিল৷ ফলে, পড়াশুনার ক্ষতির পাশাপাশি আমাদেরকে মানসিকভাবেও প্রভাবিত করেছে৷ এখন বিদ্যালয়গুলি খুলেছে৷ তাতে ভীষণ ভালও লাগছে আমাদের৷ ওই ছাত্রের কথায়, সরস্বতী পূজায় সকাল-সকাল পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে অঞ্জলি দেওয়ার সেই ছোটবেলা থেকে অভ্যাস৷ কিন্তু এবার মনে হয়েছিল করোনা-র প্রকোপে সবাই মিলে অঞ্জলি দেওয়ার আনন্দ মাটি হয়ে যাবে৷ সুকল বন্ধ থাকলে, পুজো হওয়ারই কোনও সম্ভাবনা ছিল না৷


আজ মূর্তি বিক্রেতারাও রোজগারের আশায় বাজারে প্রচুর মূর্তি নিয়ে হাজির হয়েছেন৷ জনৈক মূর্তি বিক্রেতা বলেন, করোনা-র প্রকোপ কমেছে৷ ফলে, সবাই সরস্বতী পূজা করবেন, আশাবাদী ছিলাম৷ কিন্তু, বাজারে এখনও বেচাকেনা তেমন জমে উঠেনি৷ তাঁর দাবি, জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে৷ মূর্তি তৈরিতে খরচ অনুযায়ী এ-বছর দাম কমিয়ে বিক্রি করা সম্ভব নয়৷ তবে ছোট মূর্তির চাহিদা এ-বছর অনেকটাই কম বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তাঁর মতে, এ-বছর গরিব মানুষ হয়তো সরস্বতী পূজায় আগ্রহী নন৷ আর্থিক দুর্বলতার কারণে অনেকেই পুজো করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে গেছেন৷ তাই, ছোট মূর্তির বিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হচ্ছে৷


এদিকে, ফল বিক্রেতারাও ক্রেতার সংখ্যা দেখে কিছুটা হতাশ হচ্ছেন৷ জনৈক ফল বিক্রেতা বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক বেশি৷ কিন্তু বিক্রি এখনও জমে উঠেনি৷ তিনি বলেন, অফ সিজন হওয়ায় কিছু ফলের দাম সামান্য বেশি৷ তবুও সাধারণের নাগালের মধ্যেই রয়েছে দ্রব্যমূল্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *