রায়পুর, ২৩ নভেম্বর (হি.স.): ছত্তিসগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম তিন সন্দেহভাজন মাওবাদী | সোমবার ছত্তিসগড়ের কাঙ্কের জেলার রাওঘাট থানা এলাকার এই গুলির লড়াইয়ে হতদের মধ্যে আছে একজন মহিলাও। মাওবাদীদের গুলিতে আহত হয়েছেন এক সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-র জওয়ান । ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অটোমেটিক রাইফেল-সহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র। নিহত জঙ্গিদের দেহগুলি শনাক্ত করা যায়নি।
ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন এলাকায় এখনও মাওবাদীদের গতিবিধি যথেষ্ট তৎপর। যা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র। বিশেষত জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে প্রায়দিন চোখে পড়ছে মাওবাদীদের সক্রিয় উপস্থিতি। সোমবার রাওঘাট থানা এলাকায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র মাওবাদী লুকিয়ে থাকার খবর পান নিরাপত্তারক্ষীরা। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে যান জওয়ানরা। এলাকায় পৌঁছতেই জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। জওয়ানদের গুলিতে শেষমেশ তিন মাওবাদী নিহত হয়।
বস্তার রেঞ্জ পুলিশের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এ দিন সকালে রাওঘাট থানার অধীনে তাড়োকি জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে তিন জঙ্গির সংঘর্ষ হয়। তিনি জানিয়েছেন, ‘মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) বাহিনীর একটি দলের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় মাওবাদীরা আত্মগোপন করে আছে জেনে সকালে জঙ্গল ঘিরে ফেলেন বাহিনীর সদস্যরা। এর পরেই নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।সংঘর্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর এক জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’
আইজি জানিয়েছেন, ‘নিহত মাওবাদীদের এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। অন্তঃগড়ের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আহত জওয়ানকে।’
ছত্তিশগড় পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ দিন পর্যন্ত চলতি বছরে বস্তার রেঞ্জের সাতটি জেলায় মোট ৩০ জন মাওবাদী জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে।