BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় সাফল্যের সাথে রূপায়িত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম

আগরতলা, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরায় রাষ্ট্রীয় বাল (শিশু) স্বাস্থ্য কার্যক্রম সাফল্যের সাথে রূপায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে, যে সমস্ত শিশু জন্মগত রোগ, বিকাশগত ত্রুটি অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা। জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের এই সুবিধা প্রদান করা হয়।

রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য-সচিব জানিয়েছেন, এ-সমস্ত রোগীকে শনাক্ত করার জন্য চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে গঠিত জেলা এবং মহকুমাভিত্তিক দল গঠন করা হয়েছে যাঁরা বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে এ-সমস্ত শিশুদের শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এই টিম ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭৫৭টি গ্রামীণ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি দিবসে এবং ১,১৮৫টি রুটিন টীকাকরণ সেশনে গিয়ে শিশুদের পরীক্ষা করেছেন।


তিনি জানান, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে গঠিত আরবিএসকে টিম মোট ১৪,৮৬৮টি শিশুকে পরীক্ষা করেছে। এই সময়কালে বাঁকা পা বা ক্লাব ফুট রোগ নিয়ে জন্মানো ১৮টি শিশুর সরকারিভাবে চিকিৎসা হয়েছে। তিনি বলেন, যে-সমস্ত শিশু হৃদরোগ নিয়ে জন্মায় তাদের এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি খরচায় চিকিৎসা করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৭ জন এ রকম শিশুকে সম্পূর্ণ সরকারি খরচায় বাইরের রাজ্যের বেসরকারি উন্নতমানের হাসপাতালে ও রাজ্যে অপারেশন করা হয়েছে। ক্লেফট লিপ বা ক্লেফট প্যালেট অথবা ঠোট বা তালু কাটা একজন শিশুর অপারেশন ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়েছে। আরও ৩৭ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। 


সদস্য-সচিব জানান, শ্রবণশক্তির সমস্যা রয়েছে এমন ১৯ জনের, জন্মগত বধিরতা রয়েছে এমন ৫ জনের এবং জন্মগত চোখে দেখার সমস্যা রয়েছে এমন ১৬ জনের চিকিৎসা এই সময়কালে বিনামুল্যে হয়েছে। তাঁর দাবি, যে-সমস্ত শিশু উপরোক্ত যে-কোনও অসুখে ভুগছে, তাদের অভিভাবকগণ এই দলের সঙ্গে অথবা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংবা জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট এবং মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসডিএমও)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম তালিকাভুক্ত করতে পারেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *