BRAKING NEWS

গ্রীষ্মকালীন শিবিরে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ৮২.১ শতাংশ, উদ্দেশ্য সফল বলে দাবি দপ্তরের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে৷৷ রাজ্যে নতুন দীশা প্রকল্পের অধীন গ্রীষ্মকালীন শিক্ষা শিবিরের উদ্দেশ্য অনেকটাই সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে শিক্ষা দফতর৷ কারণ, চিহিণত দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার প্রায় ৮২.১ শতাংশ৷ যা নিঃসন্দেহে শিক্ষা দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের বুক ফুলিয়ে চওড়া করে দিয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৮৩ জন দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৬৪ জন গ্রীষ্মকালীন শিবিরে উপস্থিত ছিল৷ তাদের উপস্থিতি শিক্ষা দফতরের এই নতুন পদক্ষেপের বিরাট সাফল্য বলে মনে করছি৷

ত্রিপুরায় শিক্ষার হাল বড়ই করুণ৷ দীর্ঘ ২৫ বছরের টানা বাম শাসনে শিক্ষার মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙে দিয়েছে বলা যায়৷ রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর শিক্ষা দফতর দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের চিহিণত করার জন্য সমীক্ষা করেছিল৷ তাতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৮৩ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল হিসেবে চিহিণত হয়েছিল৷

এ-বছর নতুন পদক্ষেপ হিসেবে শুরু হয় গ্রীষ্মকালীন শিক্ষা শিবির৷ মূল লক্ষ্য ছিল, দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া৷ সে মোতাবেক গ্রীষ্মকালীন শিক্ষা শিবিরে তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ২৭০ জন ছাত্রছাত্রী আবেদন জানিয়েছিল৷ তাদের মধ্যে দুর্বল চিহিণত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা হল ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৮৩ জন৷ এই দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৬৪ জন গ্রীষ্মকালীন শিক্ষা শিবিরে অংশ নিয়েছে৷

শিক্ষা দফতরের পদস্থ আধিকারিকের কথায়, পশ্চিম জেলায় ২৭ হাজার ৮৫৬ জন দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ২১ হাজার ৫৯ জন শিবিরে উপস্থিত ছিল৷ এছাড়া, খোয়াই জেলায় ১৫ হাজার ৭০৩ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১১ হাজার ৩২০ জন, সিপাহিজলা জেলায় ২৬ হাজার ৯৫ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৮ হাজার ৬৫৮ জন, দক্ষিণ জেলায় ২১ হাজার ১৯৫ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৭ হাজার ৭৪৩ জন, গোমতি জেলায় ২২ হাজার ৩৪৬ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৭ হাজার ৫৭৪ জন, উত্তর জেলায় ২৩ হাজার ৯৮২ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৭ হাজার ৭৮৫ জন, ঊনকোটি জেলায় ১৭ হাজার ১৭৩ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৩ হাজার ৬০০ জন এবং ধলাই জেলায় ২৫ হাজার ২৩৩ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৭ জন গ্রীষ্মকালীন শিক্ষা শিবিরে উপস্থিত ছিল৷

গত ২৫ এপ্রিল থেকে এই শিবির শুরু হয়েছিল৷ সমাপ্ত হয়েছে ৮ মে৷ ওইদিন অভিভাবকদের শিবিরে আসতে বলা হয়েছিল৷ কারণ, শিবির চলাকালীন ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করার পর অভিভাবকদের সে সম্পর্কে জানানো হয়েছে৷ অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য৷ সারা রাজ্যে ৯৯ হাজার ৬৭৬ জন অভিভাবক শিবিরের অন্তিম দিনে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ তাঁদের সন্তানদের শিবির চলাকালীন কতটা উন্নতি হয়েছে তা প্রদর্শন করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *