BRAKING NEWS

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বেড়েছে, দাবি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল (হি. স.) : বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করার ঘটনা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সংবাদসংগ্রহের সময় সংবাদিকদের উপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ এবং সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা বেড়েছে। প্যারিসভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার বৃহস্পতিবার বার্ষিক এক রিপোর্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্লেষণে একথা জানিয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার আরও বলেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সূচকে চার ধাপ নিচে নেমে গেছে বাংলাদেশ। সূচকে থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ ও সংগঠনের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কড়া নীতির যৌথ শিকার বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।

বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক ২০১৯ (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৯)-এ শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষ পাঁচ দেশের সবগুলোই ইউরোপের। এই সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নির্বাহীরা। এই আইনে নেতিবাচক প্রচারণার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদন্ড।

যেসব সাংবাদিক এবং ব্লগার সমাজে অতিরিক্ত ধর্মনিরপেক্ষ মত প্রকাশের সুরক্ষা চান তারা উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের হয়রানি আর হত্যার শিকার হচ্ছেন। প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) সারা বিশ্বের সাংবাদিকদের ওপর নিপিড়ণ ও হামলার ঘটনা নথিবদ্ধ করে তা প্রতিরোধে কাজ করে। সংস্থাটির ২০১৯ সালের সূচকে দেখা গেছে সাংবাদিকদের ওপর ঘৃণা সহিংসতায় পরিণত হচ্ছে। আর এর ফলে সারা বিশ্বে ভয়ের পরিবেশ বাড়ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে চিত্র সাংবাদিক শহিদুল আলমের গ্রেফতারের ঘটনাকে সামনে এনেছে রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডার। বলা হয়েছে, সরকার বিরোধীদের দমন করতে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহারের নজির এই ঘটনা। গত বছর গ্রেফতার হয়ে একশো দিনেরও বেশি কারাগারে কাটিয়েছেন এই চিত্রসাংবাদিক। আরএসএফ-এর সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবস্থান স্বভাবতই নিচের দিকে। দুই ধাপ নিচে নেমে ভারতের অবস্থান ১৪০ আর তিন ধাপ নিচে নেমে পাকিস্তানের অবস্থান ১৪২। আরএসএফ এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করতে পারা দেশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে আর স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা অব্যাহত রেখেছে। পরপর তিন বছর ধরে এই সূচকে প্রথম স্থান অর্জন করল নরওয়ে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। সাইবার নিপীড়ন বাড়ায় একধাপ নিচে নেমে সুইডেনের অবস্থান তিনে। আর চতুর্থ অবস্থানে নেদারল্যান্ডস। পঞ্চম অবস্থানে ডেনমার্ক। প্রধম পাঁচটি দেশের সবগুলোই ইউরোপের। তালিকার নিচের দিকে সর্বশেষ অবস্থানে তুর্কমেনিস্তান। এরপর ধারাবাহিকভাবে ওপরের দিকে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, চিন ও ভিয়েতনাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *