BRAKING NEWS

সব প্রস্তুতির পরও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে যেতে রাজী হননি খালেদা জিয়া

ঢাকা, ১০ মার্চ (হি. স.) : বিএনপি নেতারা কয়েকদিন আগে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তদনুযায়ী খালেদাকে আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়ার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও তিনি সেখানে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি যাবেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন সকালে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়াকে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হবে। আমাদের সব রকম প্রস্তুতি আছে।

তবে উনাকে কখন আনা হবে সেই সময় এখনও জানানো হয়নি।মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি এমন অসুস্থ যে, সোজা হয়ে বসতেও পারছেন না। ফখরুলের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে একজন নেত্রী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাকে আটকে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া জীবনে ব্যক্তিগত সুবিধা, পারিবারিক সুবিধা কোনো কিছুর দিকে লক্ষ্য করেননি। অথচ সরকার তাকে জেলে আটকে রেখেছে মিথ্যা মামলায়, গায়েবি মামলায়। এটি কোথাও কেউ শুনেছেন কোনো কালে, দেখেছেন কোনো কালে- আমি জানি না। সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিযোগ করে মহাসচিব বলেন, সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৯৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।বিএনপি শুরু থেকেই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুতে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে ফের তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। তখন বিএনপি অভিযোগ করেছিল, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা পুরোপুরি না দিয়েই হাসপাতালে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের দন্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *