BRAKING NEWS

গাজিপুরে পুলিশকর্মী খুনে গ্রেফতার ১১, নিন্দায় সরব অখিলেশ

গাজিপুর, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.) : উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর হিংসায় পুলিশকর্মী খুনে ১১-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রক থেকে জানা গিয়েছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার এমনই জানালেন বারাণসী এডিজি পি ভি রামা শাস্ত্রী। রবিবার সকালে গাজিপুরের পুলিশকর্তা এম পি পাঠক জানিয়েছেন কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্যদিকে, নিহত পুলিশকর্মীর ছেলে ভিপি সিং এই ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ পুলিশ নিজেদের কর্মীদেরই রক্ষা করতে পারছে না। পুলিশকর্মী খুনে নিন্দায় সরব হয়েছে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব।
বুলন্দশহর পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ সিং-এর হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে ফের পুলিশকর্মী খুন উত্তরপ্রদেশে। এবারের ঘটনাস্থল গাজিপুর। শনিবার গাজিপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। সেই সভা থেকে ডিউটি শেষ করে ফিরছিলেন পুলিশ কনস্টেবল সুরেশ ভাট। সেই সময় একদল জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায় বিক্ষোভরত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ঢিলও ছুড়তে থাকে। সেই ঢিলেই গুরুতর অহত হন সুরেশ ভাট নামে । গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অভিযোগের তির রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টির সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার বারাণসী জোনের এডিজি পি ভি রামা শাস্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানতে পারা গিয়েছে মস্তিষ্কে আঘাত থেকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষয়ায় রয়েছি। ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ কর্তা এম পি পাঠক বলেছিলেন, ৩২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৬০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামেও এফআইআর দায়ের করা হয়। বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত পুলিশকর্মীর ছেলে ভিপি সিং বলেন, পুলিশ নিজের লোকেদেরই রক্ষা করতে পারছেন না। তাদের থেকে আর কি বা আশা করা যেতে পারে। ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়েই বা কি করব আমরা। এর আগে একই ঘটনা প্রতাপগড় এবং বুলন্দশহরেও ঘটেছে।
পুলিশকর্মী খুনে রাজ্য সরকারের নিন্দায় মুখর হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিধানসভায় থাকুন বা মঞ্চে থাকুন সব সময়ই বলেন ‘ঠোক দো’। এই জন্য এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই পুলিশ বুঝতে পারছে না কাকে ঠুকতে হবে। আর জনগণও বুঝতে পারছে না কাকে ঠুকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *