নয়াদিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : মেঘালয়ের আবৈধ কয়লাখনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী | ট্যুইটারে তিনি লেখেন, গত দু’সপ্তাহ ধরে ১৫ জন শ্রমিক খনিতে আটকে পড়ে আছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী হেঁটে বেড়াচ্ছেন বগিবিল ব্রিজের ওপরে। ফটোগ্রাফারদের জন্য পোজ দিচ্ছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হল দেশের দীর্ঘতম দোতলা সেতু বলিবিল, প্রায় ৫ কিলোমিটার লম্বা দ্বিতল এই সেতু উত্তর-পূর্বের অনেক জায়গায় যাতায়তের সময় কমাবে অনেকখানি | বগিবিল সেতু এবং দু’পারের সংযোগকারী রাস্তা তৈরিতে ৫৯২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে| গতকাল ২৫ ডিসেম্বর এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী | যা নিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী | ট্যুইটারে তিনি মেঘালয়ের আবৈধ কয়লাখনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে লেখেন, ১৫ খনিশ্রমিক দু’সপ্তাহ ধরে জলমগ্ন খনির মধ্যে বাতাসের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্টো দিকে একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী তখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দিচ্ছেন। তাঁর সরকার উচ্চক্ষমতার পাম্প দিয়ে জল নিষ্কাশনে অনীহা দেখাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দয়া করে তাঁদের বাঁচান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে মেঘালয়ের ‘র্যা ট হোল’ কয়লাখনিতে আটকে আছেন ১৫ জন শ্রমিক। কয়েক বছর আগে সরকার বেআইনি ঘোষণা করার পরেও ওই ধরনের খনিতে নেমেছিলেন তাঁরা। এখন খনিতে ঢুকছে নদীর জল। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয়েছে উদ্ধারের কাজ। কারণ খনিগর্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ জল বার করার মতো পাম্প নেই ত্রাণকর্মীদের কাছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ত্রাণকর্মীরা ১০ টি ১০০ হর্স পাওয়ারের পাম্পের জন্য অপেক্ষা করছেন। অতগুলি শক্তিশালী পাম্প পেলে তবেই পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের খনি থেকে নদীর জল বার করা যাবে। কিন্তু মেঘালয় সরকার ত্রাণকর্মীদের অত শক্তিশালী পাম্প দিতে পারেনি। ত্রাণকর্মীরা দু’টি ২৫ হর্স পাওয়ারের পাম্প নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে বেশি জল বার করা যায়নি।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের উচ্চপদস্থ অফিসার এস কে শাস্ত্রী বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত জীবিত বা মৃত কাউকে পাইনি। রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্যের অপেক্ষায় আছি। তিনি জানান, আটকে পড়া ১৫ জনকে উদ্ধার করতে হলে আমাদের খনিগর্ভে ৭০ ফুট নীচে নামতে হবে। কিন্তু আমাদের ডুবুরিরা মাত্র ৪০ ফুট নীচে নামতে পারে। সুতরাং পাম্প দিয়ে জল না বার করতে পারলে আমাদের পক্ষে উদ্ধারের কাজ চালানো সম্ভব নয়।