লখনউ, ২৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : হনুমানের জাত, ধর্ম, গোত্র বিচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ভারতীয় রাজনৈতিক মহল। কে ঠিক, তা বিচার করার দায় রয়েছে তাঁদের উপর। এবার একধাপ এগিয়ে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার চেতন চৌহান বললেন, ”হনুমানজি আসলে ক্রীড়াবিদ ছিলেন। উনি কুস্তি লড়তেন। আপনারা দেখে থাকবেন, দেশের প্রায় সমস্ত কুস্তিগীর আখড়ায় নামার আগে ওনার পুজো করে। কুস্তিগীররা ওনাকে খুব মানে। আমিও ওনাকে খুব ভক্তি করি। উনি আমার কাছে ভগবান। আর ভগবানের কোনও জাতি হয় না। আমি ওনাকে কোনও নির্দিষ্ট জাতির বলে ভাগ করতে চাই না।”
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির কাউন্সিলর বাক্কাল নবাব হনুমানকে মুসলিম বলে দাবি করেছিলেন। এর আগে উত্তরপ্রদেশের আরেক মন্ত্রী চৌধুরি লক্ষ্মী নারায়ণ হনুমানকে জাঠ বলে দাবি করেছিলেন। যুক্তিতে তিনি বলেছিলেন, ”জাঠরা যদি কাউকে সমস্যায় দেখে তা হলে সেই ব্যক্তি ও ঘটনার বিচার না করেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঠিক যেমনভাবে হনুমানজি মানুষের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।” বিজেপির বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজা কিছুদিন আগে হনুমানকে আদিবাসী নেতা বলে দাবি করেছিলেন। নিজের দাবির সপক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, ”হনুমানজি পৃথিবীর প্রথম আদিবাসী নেতা ছিলেন। অন্য সব দেব-দেবীর থেকে হনুমানজির মন্দির সব থেকে বেশি। হনুমানজি জঙ্গলে থাকতেন। তিনি বানরদের নেতা ছিলেন।”