BRAKING NEWS

শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত ! মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কমল নাথের পদত্যাগ চেয়ে দিল্লিতে অনশনে বিজেপি নেতা

নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : সোমবারই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ শপথ নিয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ | আর আজই তাঁর পদত্যাগ চেয়ে অনশনে বসলেন দিল্লি বিজেপির নেতা তেজিন্দার পাল সিং বাগ্গা । তাঁর দাবি, ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত ছিলেন কমল নাথ | এহেন ব্যক্তিকে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী করল কংগ্রেস | যতক্ষণ না কমল নাথকে সরানো হচ্ছে ততক্ষণ এই অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি৷ এমনটাই জানালেন বাগ্গা |১৯৮৪-র ৩১ ডিসেম্বর তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর পাল্টা শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত থাকার দায়ে সোমবারই দিল্লি হাইকোর্টে যাবজ্জীবন কারাবাস হয়েছে সেই সময়ের শীর্ষ কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের। আজ সেই হিংসায় কাঠগড়ায় ওঠা কমল নাথেরও সাজার দাবিতে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন বাগ্গা । পশ্চিম দিল্লির তিলকনগরে অনশনে বসেন যেখানে ১৯৮৪ সালে বহু শিখ পরিবার সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল৷ বাগ্গা জানান, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যতক্ষণ না কমল নাথকে সরানো হচ্ছে ততক্ষণ এই অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি৷ তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন আরও বহু বিজেপি নেতারা ৷ দিল্লি বিধানসভার বিরোধী নেতা বিজেপির বিজেন্দর গুপ্তা কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করে শিখ ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবারই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথ| এদিন দুপুরে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের লাল প্যারেড গ্রাউন্ডে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কমল নাথকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল | মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের অভূতপূর্ব সাফল্যের পর মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন দু’জন | প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া | গত বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন ৭২ বছর বয়সি কমল নাথ | এরপরই মধ্যপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কমল নাথ-এর নাম ঘোষণা করা হয় | তবে কমল নাথকে এই দায়িত্ব অর্পণ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেও যেমন দ্বিমত রয়েছে তেমনই দলের বাইরে বিশেষ করে গেরুয়া শিবিরের কাছেও এটা অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ৷ আর এই হাতিয়ারকে সামনে রেখে, শিখ নিধনে যে কমল নাথের যোগ রয়েছে তাকেই কেন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন তুলে অনশনে বসলেন দিল্লির বিজেপি নেতারা৷
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর দেশজুড়ে শিখনিধনে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল কমল নাথের বিরুদ্ধে ৷ সেই সময় দিল্লিতেও ৩০০০ শিখকে হত্যা করা হয়েছিল৷ অভিযোগ ওঠে রাকাবগঞ্জ গুরদুয়ারার বাইরে দুইজন শিখকে পুড়িয়ে মারার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমল নাথ৷ পরবর্তীকালে এনডিএ আমলে অটল বিহারী বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন সরকার ওই ঘটনার তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নানাবতী অধীনে এক কমিশন গঠন করা হয় ৷ তবে কমিশনের তদন্তে এই অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ মেলেনি ৷ ফলে পুরোপুরি অব্যাহতি পান তিনি ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *