যোধপুর, ১ ডিসেম্বর (হি.স.) : হিন্দুত্ব নিয়ে পাল্টা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নিন্দায় মুখর হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার রাজস্থানের যোধপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আপনি আমাদের হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেদিন কোথায় ছিলেন যখন ইউপিএ-এর আমলে সোনিয়া গান্ধী সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ভগবান রাম হচ্ছে কাল্পনিক চরিত্র।
এদিন রাজস্থানের যোধপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধীকে ‘হিন্দুত্বের জ্ঞানী নামদার’ অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আপনার মায়ের (সোনিয়া গান্ধী) আমলে ইউপিএ সরকার এমন ধরণের হলফনামা দেয়।’ কংগ্রেসের হিন্দুবিরোধী দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেই কংগ্রেস পার্টি যারা সোমনাথ মন্দিরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের দর্শনের বিরোধিতা করেছিল। আজ আপনারা হিন্দুত্ব নিয়ে আমাদের জ্ঞান ও অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন এলেই জাতপাতের রাজনীতি করতে শুরু করে দেয় কংগ্রেস।
হিন্দু ধর্মের দর্শন নিয়ে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, সাধুরাও দাবি করবে না যে তারা হিন্দু এবং হিন্দুত্ব সম্পর্কে সবকিছু জানে। এটি বৃহদ জ্ঞান যা পূর্ণাঙ্গ ভাবে একজন মানুষে পক্ষে জানা সম্ভব নয়। হিন্দুত্বের সঙ্গে রাজস্থানের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদী বলেন, হিন্দুত্ব নিয়ে মোদীর কোনও জ্ঞান রয়েছে কিনা তা নিয়ে সেটি কি রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ইস্যু হতে পারে? বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং সড়ক নির্বাচনের ইস্যু হোক।
এদিন কড়া ভাষায় কংগ্রেসের নিন্দায় মুখর হয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, কংগ্রেস এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কেউ ঢুকলে মিথ্যা কথা বলার পিএইচডি পড়ানো শুরু হয়ে যায়। কংগ্রেসে যারা মিথ্যা কথা বলার পারদর্শী হয়ে ওঠে তারা নতুন পদ এবং পদবি পায়।
উল্লেখনীয়, শনিবার উদয়পুরের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, হিন্দুধর্ম ও গীতার সার কথা হচ্ছে জ্ঞান সবার জন্য। জ্ঞান আমাদের চারিদিকে রয়েছে। প্রত্যেক জীবজন্তুর মধ্যে সেই জ্ঞান রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি হিন্দু। কিন্তু তিনি হিন্দুধর্মের ভিত্তিটাই বোঝেন না। তিনি তবে কি ধরণের হিন্দু?