BRAKING NEWS

নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ট্রাজেডি ও লজ্জাজনক : মমতা

কলকাতা, ২৯ আগস্ট (হি.স.): নোটবাতিলের সিদ্ধান্তকে ট্রাজেডি ও লজ্জাজনক বলে বুধবার টুইট করে অভিহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নোটবাতিল করাই হয়েছিল কালো টাকার উপর রাশ টানা, দুর্নীতি ও জাল নোট বন্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে । কিন্তু বুধবার প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, জাল নোটের পরিমান কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ । ৯৯ শতাংশের উপর বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে বলে ওই রিপোর্টেই তথ্য দিয়েছে খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ১৫.৪১ লাখ কোটি টাকার বাতিল নোটের মধ্যে ১৫.৩১ লাখ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে । অর্থাৎ ১০,৭২০ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ফেরেনি । টাকা গোনার কাজ শেষ হয়েছে বলেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে । এই রিপোর্ট সামনে আসতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তীব্র আক্রমণ শানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দিকে । নোট বাতিলের রিপোর্ট যে এই রকমই হবে তা আগেই জানতেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনও দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ।

এই রিপোর্ট প্রকাশ পেতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তাহলে কালো টাকা কোথায় গেল ? এই স্কিম কি কিছু লোকের কালো টাকা সাদা করার জন্য’ ? সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনও টুইট করে বলেছেন, ‘নোটবাতিলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একজনই প্রথম বলেছিলেন, ‘রাক্ষুসে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্বানুমানের ক্ষমতা, নাকি মাটির সঙ্গে যোগাযোগ, নাকি শুধুই জিনিয়াস তিনি’।

কালো টাকা আটকাতে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোটবাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন । শুধুই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের খরচও হয়েছে প্রচুর । নতুন ৫০০ টাকা, ২০০০ টাকার নোট ও অন্যান্য নতুন নোট ছাপাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের খরচ হয়েছে ৭,৯৬৫ কোটি টাকা । ২০১৭ থেকে ১৮ সালে নোট ছাপাতে আরও ৪,৯১২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *