BRAKING NEWS

রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার পাইলট প্রজেক্টের সূচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ আগস্ট৷৷ আজ মহাকরণের ২ নং কনফারেন্স হলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনার পাইলট প্রজেক্টের সূচনা করেন৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনায় আওতায় রাজ্যে চার লক্ষ আটানববই  হাজার নয়শ কুড়িটি পরিবারকে আনা হবে, যা রাজ্যের মূল জনসংখ্যার প্রায় ৭১ শতাংশ৷ তিনি বলেন, এই যোজনায় একটি পরিবার প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন৷

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন বলেন, এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনাটি ঘোষণা করেছিলেন৷ তার এই ঘোষণার সঙ্গে সাজুয্য রেখেই ত্রিপুরায় এই প্রকল্পটির পাইলট প্রজেক্টের সূচনা হল৷ তিনি বলেন, ২০১১ সালের সোসিও ইকোনোমিক ও কাস্ট সেন্সাস (এসইসিসি) অনুযায়ী এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী নির্বাচন করা  হবে৷ তিনি বলেন, এসইসিসি ছাড়াও আরএসবিওয়াই কার্ড যাদের আছ যারা ২০১৬ বা তারপর রেজিসিট্র করেছিলেন তারাও এই যোজনার সুবিধা পাবেন৷ এই প্রকল্পের আওতায় নিউরো, কার্ডিয়াক সার্জারী সহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে৷ নির্বাচিতপরিবারের সমস্ত সদস্যই এই প্রকল্পে চিকিৎসার জন্য বিমার আওতায় আসবেন৷

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে রাজ্যের এজিএমসি ও জিবি হাপাতালে এই পরিসেবা চালু হবে এটবং পরবর্তী সময়ে রাজ্যের ৬২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে৷ পর্যায়ক্রমে বহির্রাজ্যে রাজ্য কর্তৃক তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলিতেও এই যোজনার সুযোগ পাওয়া যাবে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই যোজনাটি রূপায়ণ করার দায়িত্বে থাকবে স্বাস্থ্য দপ্তরের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অন্তর্গত ত্রিপুরা হেলথ্ প্রোটেকশন সোসাইটি৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন থেকে প্রত্যেক সুবিধাভোগী পরিবারকে একটি করে চিঠির মাধ্যমে যোজনায় অন্তর্ভূক্তির ব্যপারে জানানো হবে৷

অনুষ্ঠানে আট জনকে ই-হেলথ কার্ড তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷ এদিন এই অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সঞ্জীব রঞ্জন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব কুমার অলক, অন্যান্য প্রধান সচিব, সচিব, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রকল্প অধিকর্তা ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *