BRAKING NEWS

আমাদের হস্ততাঁত শিল্পীদের বিশ্ববাজার দখল করতে হবে : মুখ্যমন্ত্ৰী

গুয়াহাটি, ৭ আগস্ট, (হি.স.) : আমাদের হস্ততাঁত পণ্যসামগ্ৰীর বিশ্ববাজার দখল করার ক্ষমতা আছে। এর জন্য বিপণন ব্যবস্থাকে অধিক মজবুত করতে হবে। আমাদের পরম্পরাগত বস্ত্ৰশিল্পের সুনাম আছে। তাই বহিঃরাজ্য থেকে আমদানিকৃত গামোছা যাতে আমাদের বাজার দখল করতে না পারে সেই চেলেঞ্জ আমাদের তাঁত শিল্পীদের নিতে হবে। আমাদের অভাব আমাদেরই পূরণ করতে হবে এই মানসিকতা নিয়ে ঝাঁপাতে হবে। সরকারও এ জন্য সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার শ্ৰীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰে হস্ততাঁত ও বস্ত্ৰশিল্প দফতর আয়োজিত চতুৰ্থ রাষ্ট্ৰীয় হস্ততাঁত দিবসের রাজ্য ভিত্তিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সনোয়াল এই কথাগুলি বলেন। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলনে ৭৯,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য ৭০০-এর বেশি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর পর রাজ্যে এক অনুকূল বাণিজ্যিক বাতাবরণের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, অ্যাডভান্টেজ অসম-এর মাধ্যমে হস্ততাঁত ও বস্ত্ৰশিল্পের ক্ষেত্ৰে ৫২০ কোটি টাকার সাতটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এটা এক আশাব্যঞ্জক লক্ষণ। তাঁত শিল্পীদের তিনি অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসির মাধ্যমে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাজার দখল করার আহ্বানও জানান।

প্রদত্ত ভাষণে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, হস্ততাঁত শিল্পের মাধ্যমে অসমের মহিলাদের অৰ্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ আছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও অভিযানের মাধ্যমে নারী সবলীকরণের ক্ষেত্ৰে এক গুরুত্বপূৰ্ণ পদক্ষেপ গ্ৰহণ করেছেন বলেও মুখ্যমন্ত্ৰী তাঁর ভাষণে বলেন। মুখ্যমন্ত্ৰী সস্বাভাবিকের পথে বাঁকুড়া, কাটেনি আতঙ্ক

বাঁকুড়া, ৭ আগস্ট (হি. স.) : দুর্যোগের স্মৃতি কাটিয়ে ক্রমশ ছন্দে ফিরছে বাঁকুড়া। মাত্র একটা রাতেই বাঁকুড়া শহরের প্রাণ নিঙড়ে নেয় অতি ভারী বৃষ্টি। তবে সোমবার রাত থেকে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বাঁকুড়াবাসী। পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হলেও আতঙ্ক কাটেনি, ফের জোরালো বৃষ্টি হলে অবস্থা যে ভয়াবহ হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত তারা, আর ঘর পোড়া গরুর মতই মেঘ দেখলেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন । দুর্গত মানুষেরা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিলেও প্রত্যেকে নিজ নিজ ভিটের জন্য ‌উদ্বিগ্ন ।

গন্ধেশ্বরী আর দ্বারকেশ্বরের জলস্তর কমেছে। তবে বাঁকুড়া শহরে গন্ধেশ্বরী নদীর উপর সতীঘাট ব্রীজের দু’দিক জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। এই কারণেই বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ রুটের যাত্রীবাহী বাসগুলিকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। তবে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা খুব কম।

বন্যার জন্য পুরসভা ও পূর্ত দফতরকে দূষছে বাঁকুড়াবাসী । বাঁকুড়া – দুর্গাপুর সংযোগ কারী গন্ধেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত সেতুটি বন্যার ভিলেন আর পুরসভা তার সহকারী বলে অভিহিত করেছেন বাঁকুড়াবাসী । বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আপাত নিরীহ গন্ধেশ্বরী নদী জলস্ফীতিতে ভয়াল হয়ে উঠে । অপেক্ষাকৃত নীচু হওয়ার জন্য নদীর জল সেতুর উপর দিয়ে বয়ে যেত ।জলমগ্ন সেই সেতু পার হতে গিয়ে ফি বছর প্রান যেত মানুষ জনের ।সে কারনে সেতুটি উচ্চ করে নির্মাণের দাবি ওঠে ।অপর দিকে অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলার কারনে নদীর গতিপথওনাব্যতা হারিয়ে ফেলে ।এছাড়াও নদীর চরে কোনো রকম অনুমতির তোয়াক্কা না করে ঘরবাড়ি তৈরি হওয়ার নদীর স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হয়ে যায় । যার ফলে গত কয়েক বছর ধরেই নদীর চরিত্র পাল্টে যায় । নদীর উপর তৈরি পুরাতন সেতু ভেঙে উচ্চতা বিশিষ্ট সেতু নির্মাণ করে পূর্ত দফতর । বাঁকুড়া বাসী আশা করেছিলো এই সেতু তৈরি হলে বন্যা বা জলমগ্ন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা মিলবে। কিন্তু কোটি টাকা খরচ করে সেতু তৈরি হলেও জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকমতো না হওয়ায় একটু বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হলে জল উপচে পড়ে ।গত বছর ও নদী লাগোয়া একটি ‌ আবাসন বিপদগ্রস্ত হয়ে যায় । তার পাশেই একটা দোতলা বাড়ি ধসে নদীতে মিশে যায় । ফি বছর এই বন্যার জল কেশিযাকোল, মিথিলা, মৌলাডাঙা প্রভৃতি এলাকাকে প্লাবিত করছে।পূর্ত দফতরের কাজের পাশাপাশি পুরসভার জলাধার তৈরি ও তার পাশে বিশাল প্রাচীর নদীর গতিকে অবরুদ্ধ করে দেওয়ায় জন বসতি এলাকায় জল ঢুকে বিপত্তি ডেকে আনছে ।এছাড়াও নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক ভাবে না করার জন্য পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল মগ্ন হয়ে যায় ।যদিও পুরসভার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে উপপুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল বলেন সেতু নির্মাণের ত্রুটির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।পুরসভার জলাধার তৈরি না হলে ও একই অবস্থা তৈরি হোত । পুর এলাকার বাসিন্দা নবারূন পাল, অর্ধেন্দু দাস বলেন বালি মাফিয়া, জমি মাফিয়া, আর ঠিকাদার রাজ শেষ করে দিল বাঁকুড়ার সুস্থ জনজীবন ।নদীর চর দখল করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে, বালি তোলা হচ্ছে আর বেহিসাবী সেতু তৈরি করে সরকারি টাকার লুটপাট হচ্ছে ।আর সাধারণ জনগণ ভুগছে । বিদায়ী জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী জানান পরিস্থিতি আয়ত্বে রয়েছে, নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ‌।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে যে জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় চারটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে । এদিকে গংগাজলঘাটি ব্লকের বনআশুরিযার কুমিরা গ্রামের দুর্গত মানুষেরা ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন । খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন । অপরদিকে গতকাল চাষের কাজে যাওয়ার সময় হরকা বানে ভেসে যাওয়া বৃদ্ধের মৃতদেহ এদিন সকালে উদ্ধার করা হয় । জুনবেদিয়ায় ভেঙে পড়া বাড়ির স্তুপ সারানোর কাজ শুরু হয়েছে । দমকল কর্মীরা স্তুপ সরিয়ে আলমারি, টেবিল সহ কিছু জিনিস পত্র উদ্ধার করেছে । বাড়ি ভেঙে পড়ায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত শুধাংশু মুখার্জি বলেন কি ভাবে যে সব ভেঙ্গে গেল বুঝতে পারছি না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *