BRAKING NEWS

আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে নাশকতা রোধে সতর্ক ধুবড়ি প্রশাসন, আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নজর

ধুবড়ি (অসম), ৪ আগস্ট (হি.স.) : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা ধুবড়ি জেলায় স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি যাতে সংঘটিত না-হয় এবং সম্ভাব্য নাশকতা রোধ করতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে জেলা প্রশাসন। কেননা, এবারের স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া এবং সদ্য প্রকাশিত এনআরসি-র সম্পূর্ণ খসড়াকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তির সৃষ্টি কেউ করতে না পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা, জানিয়েছেন জেলাশাসক অনন্তলাল জ্ঞানি।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এনআরসি-কে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা ধুবড়ি জেলায় কোনও অশান্তি নেই। তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সম্ভাব্য নাশকতা রোধ করতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে প্রশাসন। জেলাশাসক জ্ঞানি জানান, উগ্রপন্থী কিংবা মৌলবাদী নাশকতা প্রতিরোধে একপায়ে খাঁড়া ধুবড়ির পুলিশ প্রশাসন। এ ব্যাপারে ধুবড়ি জেলা-ঘেঁষা সমস্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তে কড়া নজর রাখতে সম্প্রতি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিএসএফ-কর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর থেকেও সীমান্তে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ এসেছে বলে জানান তিনি। কেবল সীমান্তেই নয়, গোটা জেলায় এবং জেলার বিভিন্ন প্রবেশপথেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। এছাড়া সংবদেনশীল স্থানগুলোতে এখন থেকেই নিরাপত্তারক্ষীরা তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি জেলাশাসকের সভাকক্ষে স্হানীয় বিশিষ্ট নাগরিক, অরাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন পদাধিকারীদের নিয়ে এক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ডিসি। বৈঠকে বিশিষ্টজনের মধ্যে ছিলেন জেলা উন্নয়ন কমিশনার বনশ্রী নাথ, পুলিশ সুপার লংনিত তেরাং, সারা অসম উকিল সংস্থার সভাপতি এনআই হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল রশিদ, সমাজকর্মী সুব্রত চক্রবর্তী, নজমুল হক, জেলা তথ্য ও জনসংযোগ আধিকারিক বিকাশ শর্মা, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর পানবাড়িতে অবস্থিত তিনটি ব্যাটালিয়ান ক্যাম্পের পদস্থ আধিকারিক, সেনাবাহিনীর ডোগ্রা রেজিমেন্টের আধিকারিক প্রমুখ।
জেলাশাসক অনন্তলাল জ্ঞানি জানান, আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলার সর্বত্র সরকারিভাবে বিশেষ কার্যসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী জেলা সদরের প্রভাতচন্দ্র বরুয়া খেলার মাঠে আয়োজন করা হয়েছে মূল অনুষ্ঠান। সেখানে নির্দিষ্ট সময় কুচকাওয়াজ, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে ভাষণ দেবেন। ওই ময়দানেই অনুষ্ঠিত হবে খেলাধুলো। এর পর বিকেলের দিকে মাঠে অনুষ্ঠিত হবে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। তাছাড়া স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে সংগতি রেখে শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে রচনা প্রতিযোগিতা। ডিসি জানান, জেলা সদরের অনুষ্ঠান দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধুবড়ি র ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *