BRAKING NEWS

এনআরসি : তৃণমূলের পাগলামি বন্ধ হোক, মন্তব্য দিলীপ ঘোঘের

কলকাতা, ৩ আগস্ট (হি.স.): তৃণমূল কংগ্রেসের পাগলামী রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট দাবি, কারও নাম অসমের নাগরিকপঞ্জী থেকে জোর করে বাদ দেওয়া হয় নি।

শুক্রবার দিলীপবাবু কলকাতায় বলেন, “পার্থ বাবুরা অসমের এনআরসি নিয়ে যে রাজনীতি করছেন, তা বাংলা, দেশ বা মানুষের স্বার্থে নয়। “ শনি-রবি তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা কালা দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যাঁরা শিলচরে গিয়ে মুখ কালো করে এলেন তারা কি করে কালা দিবস পালন করবে? পাগলামী রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। কালা দিবসের কি আছে, ‘বুরি নজরবালা তেরা মুখ কালা।’

মমতার জিদে সব শেষ হয়ে যাবে। এ কথা জানিয়ে দিলীপবাবু বলেন, অসমে যে কেউ যান কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ওখানে উত্তেজনার তৈরির উদ্দেশ্যে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। তাই পুলিশ তাঁদের আটকিয়েছে। ওখানে যাঁরা তৃণমূলে ছিলেন তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। আমার মনে হয় তারা বিজেপিতে যোগ দেবেন। ওখানে গিয়ে লাভ নেই। তৃণমূল ওখানে উঠে গেছে।”

তৃণমূল নেত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ হাত জড়ো করছে। আর কী করবে? ওনারা তো মারধোর করেন এখানে। মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেন। ওনারা আবার কি গণতন্ত্রের কথা বলছেন?

এদিকে রাজ্য বিজেপি সম্পাদক সায়ন্তন বসু এ দিন অভিযোগ করেন, কয়েকদিন ধরে প্রচারমাধ্যমগুলি তৃণমূলের মুখপত্রে পরিণত হয়েছে। এক মন্ত্রী বিভ্রান্তিকর, বিভাজনমূলক তথ্য পরিবেশন করেছেন। তা আমরা খারিজ করছি। যে ৪০ লক্ষের নাম তালিকায় নেই তাদের মধ্যে কে হিন্দু কে মুসলিম তা অসম বা কেন্দ্র সরকার প্রকাশ করেন নি।

তাহলে ওই মন্ত্রী এই তথ্য পেলেন কোথা থেকে?

কিছু বুদ্ধিজীবী এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যেই বিজেপি-র সমালোচনা করছেন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সায়ন্তনবাবু বলেন, “বুদ্ধিজীবীরা হয় ইতিহাস না জেনে কথা বলছেন। না হলে তারা মুর্খজীবী। আমাদের উদ্বাস্তু সেল এই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে কর্মসূচী দেবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *