কলকাতা, ১৬ মে (হি. স.) : বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান ২০১৯ সালের আগে কর্নাটক বিধানসভা জেডি(এস)–কংগ্রেস জোট সরকার গড়ে উঠুক! বুধবার সেই পরামর্শ দিতে তিনি টেলিফোন করলেন কুমারস্বামীকে।
বিজেপিকে ঠেকানোই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। কারণ, একমাত্র বিজেপিই গোটা দেশে বিভাজনের রাজনীতি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। এই বার্তাটা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়আজ পৌঁছে দেন কুমারস্বামীকে। বিজেপিকে ঠেকাতে আগামী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফেডারেল ফ্রন্টের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। যে রাজ্যে যে রাজনৈতিক দল শক্তিশালী তাঁদের সঙ্গে জোট করে বা তাঁদের জায়গা ছেড়ে দিয়ে বিজেপিকে ঠেকাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই ফর্মুলাকে কাজে লাগিয়ে এখন বিজেপিকে ঠেকাতে তৎপর জনতা দল সেকুলারও।
সূত্রের খবর, আজ প্রায় ১৫ মিনিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুমারস্বামীর মধ্যে কথা হয়েছে। মমতার মতে, জাতপাতের রাজনীতি করে মানুষের মধ্যে হিংসা তৈরি করছে। আর তাতে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে গোটা দেশ তথা বিশ্ব আঙিনায়। এ দিন টেলিফোনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কর্নাটকের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ুন। যেভাবেই হোক বিজেপিকে ঠেকাতে হবে। কারণ তারা দেশের ভাবমূর্তি তথা মানুষের জীবন জীবিকা নষ্ট করছে। ২০১৯ সালের আগে এটাই বিজেপির কাছে হবে চরম ধাক্কা।’
ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেছিলেন, কংগ্রেস–জেডিএসের সঙ্গে আরও আগে জোট করলেই ফল অন্যরকম হত। তারপরই কর্নাটকে রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে যায়। আর কপালে ভাঁজ পড়ে বিজেপির। এবারও জেডি(এস)–এর রাজ্য সভাপতি কুমারস্বামীকে তাঁর পরামর্শ দেওয়া জাতীয় রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।