BRAKING NEWS

রাজ্য সরকারের ব্যয় সংকোচে কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ রাজ্য সরকার প্রশাসনিক ব্যয়ের বহরহ্রাস করার লক্ষ্যে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ব্যয় সংকোচের এই পরিকল্পনায় মন্ত্রীদের কার্যালয়ের উপরেও বিশেষ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে৷ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ব্যয় বহর খতিয়ে দেখছে৷ একেই সঙ্গে পূর্বতন সরকারের  ছেড়ে যাওয়ার বিশাল আর্থিক বোঝা সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে অবহিত করেছে এবং বোঝা লাঘবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ আর্থিক সহযোগিতাও চেয়েছেন৷ কিন্তু এতেও ক্রমবর্ধমান আর্থিক বোঝা লাঘব করা কঠিন হয়ে পড়েছে৷ তাই প্রশাসনিক ব্যয় ব্যাপক হারে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের প্রতিটি সরকারী কার্যালয়ে বিদ্যুতেরগ অপব্যবহার রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ দিনের বেলা সরকারী কার্যালয়ে বিদ্যুতের আলো ব্যবহার না করা৷ অধিক মাত্রায় অপ্রয়োজনে বৈদ্যুতিক পাখা না চালানো এবং বাতানুকূল মেশিন ব্যবহার থেকে যথা সম্ভব বিরত থাকারকথা বলা হয়েছে৷ ব্যয় সংকোচের আওতায় এসেছেন মন্ত্রীরাও৷ এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রীও৷ জানা গেছে, প্রত্যেক মন্ত্রীর দফতরে ব্যয়ভার ১০ শতাংশ লাঘব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী সমেত সমস্ত মন্ত্রীরা সরকারী কাজে বহিঃরাজ্যে গেলে সর্বোচ্চ একজন আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন৷ দিল্লিতে ত্রিপুরা ভবনে অবস্থানরত রেসিডেন্ট কমিশনার সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের দিয়েই কাজ চালিয়ে নেবার কথা হয়েছে৷ তাছাড়া মন্ত্রীরা বহিঃরাজ্যে গেলে সঙ্গে সুরক্ষা কর্মীদের নিয়ে যেতে পারবেন৷ না৷ একেই সঙ্গে দফতরের দৈনন্দিন কর্মকান্ডেরব্যয় সংকোচের সিদ্ধানন্ত নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের ব্যয় সংকোচ নীতির প্রভাব উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপরেও পড়ছে৷ মুখ্য সচিব, প্রধান সচিব, কমিশনার এবং সচিব সকলেই ব্যয় সংকোচ নীতির আওতায় পরবেন৷ তবে বিভিন্ন বিষয়ে অপব্যবহার রোধেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *