BRAKING NEWS

হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চুঁটিয়ে টিউশন বাণিজ্য চলছে সরকারী শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ৩ আগস্ট৷৷ সরকারি এবং বেসরকারি সুকল শিক্ষকের প্রাইভেট টিউশন দেওয়া বে আইনি৷ ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়াও রাজ্য সরকারেরও এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা  আছে৷ কিন্তু নজরদারির অভাবে জাকিয়ে বসেছে সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বাণিজ্য৷ সকাল সন্ধে বহু শিক্ষকের ঘরে ভিড় থাকছে ছাত্র-ছাত্রীদের৷ বহু শিক্ষক এই বেআইনি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রত্যহ৷ এমন ধরা পড়লে জেল জরিমানার বিধানও আছে৷ অথচ নিজের সুকলের ছাত্র ছাত্রীদেরকেই বাড়িতে বহু টাকায় সুকলে মন্ত্র পড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকরা৷ তাদের কাছে না পড়লে নম্বর কম দেওয়া হচ্ছে৷ এমনটাই প্রমান পাওয়া গেছে বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী ব্যিদালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষকের নামে৷ ঐ শিক্ষক ২০০৮ সালে  পিজিটি পদে সুকলে চাকরি পান৷ চাকরি পেয়েই তিনি প্রথম বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে জয়েন করেন৷ চাকরি পাওয়ার পর দুই বছর ভালই সুকলে পড়াতেন৷ কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে তার টিউশন বাণিজ্য চালাতে শুরু করেন৷ তার বাড়ি বিশালগড় দুর্গানগর গ্রামে৷ বক্সনগর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরত্বে৷ তিনি বিদ্যালয়ে ভালভাবে না পড়িয়ে, সময়মত ক্লাশ না করিয়ে বাড়িতে বসে বসে টিউশন দিচ্ছে৷ তিনি বাংলা বিভাগের শিক্ষক হয়ে তার বাড়িতে সব বিষয়ে নোট দিয়ে দেয়৷ আবার ছাত্র ছাত্রীদের একা বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলে যে তার কাছে প্রাইভেট পড়লে সব প্রশ্ণ দিয়ে দেব৷ এই গুনধর শিক্ষক অন্য বিভাগের শিক্ষকদের ম্যানেজ করে প্রশ্ণ বিলিয়ে দিচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের৷ তাছাড়া দেখা গেছে এমন ছাত্র ছাত্রীও আছে বিজ্ঞান বিভাগে পায় ৫ কি ৬ আর কলাবিভাগের বিশেষ করে বাংলাতে ৭০৷ এই ভাবে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অধিকারে ঠেলে দিচ্ছে৷ গোপন খবরে জানা যায় তিনি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষায় আগে পর্যন্ত তার টিউশন বাণিজ্য চালায়৷ কারন টেস্টে তার ফাইনেলে তো আর প্রশ্ণ পত্র বিলিয়ে দিতে পারছে না৷ আর তাতে দেখা যায় একাংশ ছাত্র ছাত্রী ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করছে৷ তাঁদের মত কয়েকজন শিক্ষককের দ্বারা বেকার শিক্ষিত যুবকরা পড়ানোর জন্য ছাত্র ছাত্রী পাচ্ছেনা৷ কারন সুকল শিক্ষকদের কাছে না পড়লে নম্বর কম পাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা৷ এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য সরকার? এক কথায় এই গুনধর শিক্ষকরা হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে টিউশন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে৷ শিক্ষা দপ্তরের কি কেউ নেই এ-সবের বিরুদ্ধে নজরদারি করার? এতটাই অসহায় এখন শিক্ষা দপ্তর? এক সময় বাম সংগঠন প্রাইভেট টিউশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল৷ এখন সংগঠনের কারও কারও বিরুদ্ধে প্রাইভেট টিউশনের করার অভিযোগ উঠছে৷ তাদের বিরুদ্ধ কবে নজরদারির করা হবে? যে যে শিক্ষকরা নৈতিককতা হারিয়ে যে আইনি ব্যবসায় নেমেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বেকার শিক্ষিত যুবক যুবতীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *