নয়াদিল্লি ১৮ জুন (হি.স.) : গত কয়েকদিন ধরে পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তাল দার্জিলিং। পাহাড়বাসীকে শান্তি রক্ষার আবেদন জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার দার্জিলিং ও তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের শান্তিরক্ষার আবেদন জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে হিংসার আশ্রয় নিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। প্রত্যেক ইস্যু পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে মিটতে পারে। হিংসার পথে না গিয়ে আলোচনার মধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য পাহাড়বাসীকে অনুরোধ করেছেন তিনি। দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ে কালকের পর আজ ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাজনাথ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তাল দার্জিলিং। সেইসঙ্গে স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করায় বিরোধিতা শুরু করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এই দুই ইস্যুতে দার্জিলিঙে বনধও ডাকা হয়। শুক্রবার রাতের দিকে বিজনবাড়ির সরকারি বাংলোয় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল মোর্চা নেতা বিনয় তামাংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযোগ, বিনয়ের বাড়িও নাকি ভাঙচুর করা হয়। আবার, মোর্চার মিডিয়া উপদেষ্টা বিনোদ রাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে ময়দানে নামে নারী মোর্চা। ছিল যুব মোর্চার সদস্যরাও। লেবংয়ের সিংমারি সহ একাধিক জায়গায় পুলিশ-মোর্চার সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট, পাথর। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। মোর্চা নেতা বিনয় তামাংয়ের অভিযোগ, মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মোর্চা সমর্থকের মৃত্যু হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতির বিচার করে গতরাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন রাজনাথ। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। দার্জিলিঙে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর আজ ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।