BRAKING NEWS

মেঘালয়ে ধস, হত কিশোরী-সহ তিন, নিখোঁজ ও জখম ১১

উমিয়াম (মেঘালয়), ১৭ জুন, (হি.স.) : মেঘালয়ের রি-ভোই জেলার অন্তর্গত উমিয়াম থানা এলাকার থাড়িয়া গ্রামে মেঘালয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এমআইডিসি) লাগোয়া পাহাড় ধসে দুই মহিলা-সহ তিনজন মারা গিয়েছেন| এই ঘটনায় পাহাড়ের মাটি চাপায় নয়জন জখম এবং দুজন এখনও নিখোঁজ| তাঁদের উদ্ধার করতে অভিযান চালিয়েছে এডিআরএফ এবং অগ্নিনির্বাপণ বাহিনী|
নিহতদের শিন লামার মেয়ে ১৩ বছরের শান্তি লামা, ২৫ বছরের লবা মহন্ত এবং ১৯ বছর বয়সি বেবি মহন্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে| লবা মহন্ত ও বেবি মহন্ত পতি-পত্নী| নিখোঁজ দুজনকে শিন লামার পত্নী কৃস্টিনা লামা এবং মেয়ে রিনা লামা বলে পরিচয় পাওয়া গেছে| তাঁরা লাগোয়া পাহাড়ি নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে| তাছাড়া জখম হয়েছেন সুরেশ লামা (২৫), ইয়ানি কুমার (৫), উমেশ শর্মা (৯), শিনা শর্মা (২৬), লাফা লামা (৪২), বান্টি লামা (৪২), আমুত্তা দেউরি (৪৩), চন্দন পাসাল (৪২) এবং সিং লাম (৭০)| আহত সুরেশ লামাকে শিলঙের নেইগ্রিমস, ইয়ানি কুমার ও উমেশ শর্মাকে শিলঙের গণেশ দাস হাসপাতালে এবং বাকিদের শিলং সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে|
রি-ভোইয়ের পুলিশ সুপার রমেশ সিং হিন্দুস্থান সমাচারকে এই তথ্য দিয়ে জানান, ঘটনা শনিবার সকাল প্রায় পৌনে পাঁচটা নাগাদ ঘটেছে| গত দু-তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে মেঘালয়ে| এরই ফলস্বরূপ আজ সকালে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে থাড়িয়া এলাকায়| পাহাড়ের নীচেই ছিল বসতবাড়ি| এদের পাশাপাশি দুটি বসতঘরের ওপর বিশাল পাথরের চাঙর এবং মাটির ধস পড়ে|
পুলিশ সুপার জনান, সে সময় বৃষ্টি পড়ছিল| ঘরের ভিতর ছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা| এঁদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মাটি এবং ঘরের চাপায় প্রাণ বিসর্জন দেন| ইতিমধ্যে স্থানীয়রা হাত লাগিয়ে চারজনকে উদ্ধার করেন| খবর পেয়ে এসডিআরএফ এবং ফায়ার ব্রিগেডের জওয়ানরা অকুস্থলে গিয়ে পৌঁছেন| এসপি খোদ যান সেখানে| ইত্যবসরে আহত ও ঘায়েলদের শিলং সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়| নিখোঁজদের তালাশি চলছে সংলগ্ন ছড়া ও মাটির নীচে| তবে বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার জন্য উদ্ধার অভিযানে গতি আনা যাচ্ছে না বলেও জানান পুলিশ সুপার রমেশ সিং|
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে নাছোড় বৃষ্টিপাতের ফলে অসম, মিজোরাম তাদের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ| মিজোরামে ইতিমধ্যে ব্যাপক ধসে বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছেন| গুয়াহাটিতেও পাহাড় খসে পড়ছে বাড়িঘরের ওপর|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *