BRAKING NEWS

কদমতলায় অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের কাজকর্ম নিয়ে সরব এলাকাবাসী, উত্তেজনা, মারধরে জখম চার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৩ জুন৷৷ উত্তরে কদমতলা ব্লকাধীন পশ্চিম মধ্য রাজনগর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের মিড-ডে মিল ও সেন্টার খোলাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা৷ আহত চার৷ দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ রাজনগর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের মিড-ডে মিল ও পঠন পাঠন নিয়ে স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ ছিল অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের শিক্ষিকা সাকিনা বেগম ও রাধুনি লুবনা বেগমের উপর৷ এলাকাবাসী ও স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ প্রতিনিয়ত সুকল কামাই করে থাকে শিক্ষিকা ও হেল্পার৷ তাছাড়া কোন মিড-ডে-মিল হয় ঐ অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে৷ দীর্ঘ একমাস যাবৎ ঐ অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি বন্ধ৷ অথচ এভাবে এর পূর্বেও বহুবার সরকারী বন্ধ ছাড়াই উনারা মর্জিমাফিক বন্ধ করে রেখেছেন৷ হেল্পার লুবনা বেগম সাপ্তাহে দু একদিন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে আসলেও শিক্ষিকার দেখা পাওয়া যায়না৷ যদিও সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকার কথা৷ কিন্তু হেল্পার মর্জিমাফিক বেলা ১০-১১ টায় কেন্দ্রে উপস্থিত হন৷ তখন কেন্দ্রটির আশপাশে কোন ছাত্র-ছাত্রী থাকলে তাদেরকে ডেকে এনে কিছু চাল ও ডাল তাদেরকে দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন৷ এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ ০৪/০২/২০১২ ইং তারিখে পশ্চিম মধ্য রাজনগর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি স্থাপিত হলেও আজ পর্যন্ত ঐ সুকলে ভালোভাবে পাঠদান হয়নি এমন কি মিড ডে মিলের খিচুরী দেওয়া হয়নি ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের৷ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা বার বার অভিযোগ করে ক্লান্ত৷ লাল ঝান্ডার নিচে থাকা শিক্ষিকা ও হেল্পারের কোন টনক পড়েনি৷ উনাদের মর্জিমাফিক চালাছেন ঐ কেন্দ্রটি৷ আর হাফিজ করছেন ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের খাদ্য সামগ্রী৷ যদি ওরা কোনদিন মন চাইলে উনারা মিড ডে মিল ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে থাকেন কিন্তু সেই মিড ডে মিল ছাত্র-ছাত্রীরা খেতে পারেনা বলেও অভিযোগ করেন অভিভাবকরা৷ দীর্ঘ একমাস বন্ধ রাখার পর আজ যখন কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও হেল্পার অর্থাৎ রাধুনী অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে আসেন তখন স্থানীয় জনগন ও অভিভাবকগণ উত্তেজিত হয়ে শিক্ষিকা সাকিনা বেগম ও রাধুনী লুবনা বেগমকে সুকল ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে প্রতিবাদ শুরু করেন৷ তাদের একটাই দাবী কদমতলা সুসংহত শিশু উন্নয়ন সেবা প্রকল্পের আধিকারিককে ঘটনাস্থলে আসতে হবে৷ অতি সত্ত্বর শিক্ষিকা ও হেল্পারকে আইনত শাস্তি প্রদান করে বরখাস্থ করতে হবে এবং ঐ অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে নতুন শিক্ষিকা ও হেল্পার নিযুক্তি করতে হবে৷
অপরদিকে সুকল ঘরে তালাবন্ধি থাকা শিক্ষিকা স্বামীকে মোবাইলে যোগে বিস্তারিত জানানো স্বামী গীয়াস উদ্দিন উনার আত্মীয় পরিজন নিয়ে দা, লাঠি, সাবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন৷ সেই সময় কূর্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় প্রধান ঘনটাস্থলে এসে উত্তেজিত জনগন অভিবাবক ও শিক্ষিকার স্বামীকে বোঝিয়ে সীমাংসায় শেষ করে দেবেন বলে জানান৷ কিন্তু শিক্ষিকার স্বামী স্থানীয় জনগন ও অভিভাবকদের উপর আক্রমণ চালায়৷ আর তাতে স্থানীয় জনগন ও অভিভাবকদের মধ্যে ৪ জন গুরুত্বর ভাবে আহত হন৷ পরে অবস্থা বেগতিক দেখে কদমতলা থানাতে খবর দিলে পালিয়ে যায় শিক্ষিকার স্বামী ও আত্মীয় পরিজনরা এমনটাই গ্রামবাসীদের অভিযোগ৷ কদমতলা থানার পুলিশ ঘনটাস্থলে এসে দুটি দা জব্ধ করতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে৷ পাশাপাশি আহত মসব আলী, রিয়াসদ আলী, আনফর আলী ও শরীফ উদ্দিনকে কমদতলা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়৷ চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে সকলকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে৷
এদিকে গ্রামবাসীদের বক্তব্য প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কদমতলা সিডিপিও এবং সংবাদ কর্মীদের খবর দিতে বাধা দেয়৷ এমনকি পুরো বিষয়টি আপোসে মীমাংসা করে দেবেন বলেও জানান৷ কিন্তু তারপরও নিরিহ জনগন ও অভিভাবকদের উপর আক্রমণ চালায় শিক্ষিকার স্বামী ও তার আত্মীয় পরিজনরা৷ গ্রামবাসীরা আরও জানান বর্ষা কালে অল্প বৃষ্টিপাত হলেই প্লাবিত হয়ে পড়ে গোটা মধ্য রাজনগর গ্রাম৷ রাস্তাঘাট সহ এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটিও জলে প্লাবিত হয়ে পড়ে৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুকল কামাই করে শিক্ষিকা ও রাধুনী৷ তাই স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের একটাই দাবী পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকগণ শাস্থি প্রদান করেন৷ না হলে আগামী দিনে উনারা ভয়ংকর আন্দোলন গড়ে তুলবেন৷ এই ঘনটা সংঘটিত হওয়ার পর গোটা কদমতলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *