BRAKING NEWS

বৃষ্টি-তুফানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি, নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন বহু দুর্গত পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জুন৷৷ তিলোত্তমা শহর আগরতলা এক পসলা বর্ষণে জলোত্তমার রূপ নেয়৷ জল নিকাশী

জলমগ্ণ রাজধানী আগরতলা শহরের রাজপথ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তোলা নিজস্ব ছবি৷

ব্যবস্থার করুন চিত্র আবারো উঠে আসে৷ দু-দিনের ভাড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত শহর ও শহরতলীর এলাকায় বিস্তৃর্ণ অংশ জলমগ্ণ৷ শহরের আকার কড়াইয়ের মতো গল্প শুনিয়ে কয়েক দশক কেটে গেলেও দূর্ভোগ নিরসনে নিগম প্রশাসন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে৷ অভিযোগ, জলমগ্ণ শহরে নিকাশী ব্যবস্থা উন্নয়নে কভার ড্রেইন, পাম্প মেশিন হাটুভাঙ্গা অবস্থায়৷ শহরবাসীকে হাটু সম জল পেড়িয়ে দিনভর গন্তবো যেতে হয়েছে৷ ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, শকুন্তলা রোড, গাঙ্গাইল রোড ও বনমালীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়৷ বহু বাড়িঘড় উজানের বৃষ্টির জলে জলমগ্ণ৷ দোকানপাট জলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি৷ খবর লেখা পর্যন্ত যতদূর জানা গেছে, শহরতলীর ভাল্লুকাটিলা এলাকায় বৃষ্টির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে৷ প্রায় শতাধিক মানুষ জলে হাবুডুবু খেয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় সুকল ঘরে৷ শতাব্দী প্রাচীন গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ পরিষেবা লন্ডভন্ড৷ সন্ধ্যার পর বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন উজানে৷ অভিযোগ, প্রশাসনিকভাবে সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয়নি কবলিত এলাকায়৷ অন্যদিকে একই অবস্থা শহরের অদূরে শ্রীলঙ্কাবস্তিতে৷ হাওড়ার জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে৷ বাড়িঘরে জল ঢুকে গেছে৷ গবাদী পশু সহ সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন৷ প্রাপ্ত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, দুূর্যোগ কবলিত শিবিরে প্রশাসন এনে সামগ্রী পৌঁছে দিতে প্রশাসনিক টিম ছুটে গেছেন৷ তবে, কোথাও ঝড় বৃষ্টির কবলে পড়ে প্রানহানির খবর পাওয়া যায়নি৷
এদিকে, টানা তিনদিনের বর্ষণে তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের রাজনগর ও দশর্মীঘাট এলাকার খোয়াই নদীর জলের তলে৷ প্রশাসনের উদ্যোগে নেই কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা৷ দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর ধরে তেলিয়ামুড়া বর্তমান পুর পরিষদের রাজনগর ও দশমীঘাট এলাকা শতাধিক পুর বাসীরা বর্ষার মরশুমে খোয়াই নদীর জলে ভাসে ঘর বাড়ি৷ এলাকার মানুষদের বর্ষার মরশুমে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়৷ এনিয়ে এলাকাবাসী তরফ থেকে খোায়াই নদীর পাড়ে বোলডার সহ জল নিয়ন্ত্রণে আনার আর্িজ জানিয়ে থাকলে কাজের কাজ দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে হয়নি৷ এই বর্ষার মরশুমে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে শতাধিক বাড়ীঘর জলমগ্ণ হয়ে পড়ে৷ প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ এনিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে৷
অন্যদিকে, রাজ্যের অন্যান্য মহকুমা থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গিয়েছে তিনদিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে৷ ঝড় তুফানে বহু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে৷ সদর উত্তরের কামালঘাট, সুবলসিং, সিধাই ইত্যাদি এলাকায় বহু বাড়িঘর তছনছ হয়ে গিয়েছে৷ এছাড়া রাণীরবাজার এলাকাতেও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ রাজ্যের নদীগুলিতে জলস্ফিতি দেখা দিয়েছে৷ এতকিছু হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে জলমগ্ণ এলাকায় গিয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ এদিকে, খোয়াই জেলার কল্যাণপুর এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের তিন নং ওয়ার্ডের খামারটিলা গ্রামে দুজন আহত হয়েছে পাকা ঘর ভেঙ্গে পড়ায়৷ বুধবার রাতে তুমুল ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল৷ তখনই এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ কামারটিলা ধানের জমিতে ভেঙ্গে পরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের বহু খঁুটি৷ সেই সাথে ছিড়ে পড়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী তার৷ পাকা ঘর ভেঙ্গে পড়ে যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন ব্রজেন্দ্র নমঃশদ্র এবং রাহুল নমঃশূদ্র৷ আহতদের উদ্ধার করে অগ্ণিনির্বাপক বিভাগের কর্মীরা কল্যাণপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখান থেকে তাদের খোয়াই জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ তাদের মাথায় ও কোমড়ে চোট লেগেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *