নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মার্চ ৷৷ মাছে ফরমালিন ব্যবহার নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ জানালো ত্রিপুরা রাজ্য মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি৷ রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির তরফে জানানো হয়, মাছে ফরমালিন ব্যবহার নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে আস্থা নেই৷ বর্হিরাজ্যে অত্যাধুনিক ল্যাবে মাছের নমুনা পরীক্ষা করানো হোক৷ সমিতির দাবি, রাজ্যে কোন মাছেই ফরমালিন ব্যবহৃত হয় না৷ রাজ্য সরকারের এই রিপোর্টে প্রায় ৭-৮ লক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীর জীবনজীবিকা সংকটের মুখে৷ এদিন মৎস্য ব্যবসায়ীরা কার্যত এই উদ্ভুত সমস্যার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন৷ পাশাপাশি এই সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে বলে দাবি জানালেন৷
এদিন সমিতির সম্পাদক মণীন্দ্র দাস জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর মাছে ফরমালিন ব্যবহার নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ ভুলে ভরা৷ শ্রীদাসের বক্তব্য, যে ল্যাবে মাছের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সেই ল্যাবের প্রতি কোন আস্থা নেই মৎস্য ব্যবসায়ীদের৷ কারণ, এই তাজা মাছ নিয়ে গিয়ে ঐ ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাতেও ফরমালিন মিলেছে৷ এদিন সমিতির তরফে জানানো হয়, অন্ধ্রপ্রদেশের মৎস্য দপ্তর একটি রিপোর্ট পাঠিয়ে জানিয়েছে, সেখান থেকে পাঠানো কোন মাছেই ফরমালিন ব্যবহৃত হয় না৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বরফের কন্টেইনারে মাছ পাঠানো হয়৷
এদিন সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, সংবাদ মাধ্যমে মাছে ফরমালিন ব্যবহারে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ৪০টি মাছের নমুনা সংগ্রহ করে৷ তার থেকে ১১টি মাছে ফরমালিন ব্যবহার হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর রিপোর্ট প্রকাশ করে৷ কিন্তু, স্বাস্থ্য দপ্তরের এই রিপোর্টে আস্থা নেই বলে সমিতি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়৷ তাদের দাবি, বর্হিরাজ্যে অত্যাধুনিক ল্যাবে মাছের নমুনা পরীক্ষা করুক রাজ্য সরকার৷ কারণ, রাজ্যে যে ল্যাব রয়েছে এবং এই ল্যাবের আধিকারিকের ওপর কোন ভরসা করা যায় না বলে সমিতি জানিয়েছে৷ এদিন সমিতি মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনে৷ এদিকে, সমিতির দাবি অনুসারে রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতাও প্রশ্ণের মুখে৷ ফলে, মাছে ফরমালিন ব্যবহার নিয়ে রাজ্য সরকার ও ত্রিপুরা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য অনুসারে বিভ্রান্তি আরো বাড়ল বলেই মনে হচ্ছে৷
2017-03-20