BRAKING NEWS

পয়লা এপ্রিল থেকেই জিএসটি চালু করতে চায় কেন্দ্র, রাজ্যে অনুষ্ঠিত হল পদ্ধতি নিয়ে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি৷৷ আগামী ১৬ জানুয়ারি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ কেন্দ্র চাইছে

শুক্রবার আগরতলায় জিএসটি নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ছবি নিজস্ব৷
শুক্রবার আগরতলায় জিএসটি নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ছবি নিজস্ব৷

আগামী পয়লা এপ্রিল থেকেই দেশে জিএসটি বিল কার্যকর করতে৷ কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য মতানৈক্যের জেরে এই বিল কার্যকরে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি চাইছেন ১৬ জানুয়ারি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হোক৷ ঐ বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা যোগ দেবেন৷ তিনি বৈঠকে রাজ্যের বক্তব্য জানাবেন৷ এবিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক নীতি অনুযায়ী সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে জিএসটি বিল কার্যকর করতে হবে৷
পণ্য পরিষেবা কর ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিল এনেছে৷ কর ব্যবস্থায় সরলীকরণ এই বিলের অন্যতম মুখ্য লক্ষ্য বলে দাবি কেন্দ্রের৷ কিন্তু বিল নিয়ে মতানৈক্যের মূলে রয়েছে বড় রাজ্যগুলির কিছুটা লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ত্রিপুরার মত ছোট রাজ্যগুলি জিএসটি চালু করলে ক্ষতির বদলে লাভ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে৷
কেন্দ্র চাইছে যে করেই হোক পয়লা এপ্রিল থেকেই জিএসটি চালু করা যায়৷ সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জিএসটি নিয়ে কর্মশালার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র৷ সে অনুসারে শুক্রবার আগরতলায় আবগারি ও শুল্ক দপ্তরের উদ্যোগে জিএসটি শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ মূলত, জিএসটি চালু হলে অনলাইনে কিভাবে কর জমা দিতে হবে সহ অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে কর্মকর্তারা৷ জানা গেছে, এই কর্মশালায় প্রায় ১ হাজার ডিলারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ তাদের কাছে জিএসটি বিলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী জুন মাসের আগে জিএসটি বিল কার্যকর করা সম্ভব হবে না৷ কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে যে বিষয়গুলি নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে সেগুলি পর্যালোচনা করার জন্য কাউন্সিলের তরফে গঠিত কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে উঠতে পারেনি৷ তাছাড়াও রাজ্যগুলিকে নতুন পণ্য পরিষেবা কর ব্যবস্থায় লাভবান কিভাবে করা যায় সে বিষয়েও দিশা ১৬ জানুয়ারির বৈঠকে কতটা দেখাতে পারবে অর্থমন্ত্রক সে বিষয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷ ফলে, জিএসটি বিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *