পাশ-ফেল নিয়ে কেবে’র প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর চাইছে রাজ্য সরকার

educationনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ নভেম্বর৷৷ পাশ-ফেল প্রথা পুণরায় চালু করার বিষয়ে সেন্ট্রাল অডভাইজারি বোর্ড অব এডুকেশন’র (কেবে) সমস্ত প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর হউক চাইছে রাজ্য সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের ইচ্ছা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যে পাশ-ফেল পুণরায় চালু করা হউক৷ তবে, প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট সময় লাগতে পারে৷ তাই শিক্ষা দপ্তরের তরফে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে কেবে’র প্রস্তাবগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান তিনি৷
সোমবার মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, কেবে’র সুপারিশ অনুযায়ী পাশ-ফেল প্রথা চালু করার পুরো স্বাধীনতা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তর আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এবিষয়ে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্টজন মিলিয়ে প্রায় ১০০ জনের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করবে৷ সেই মতামতের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট রাজ্য মন্ত্রিসভায় পেশ করবে দপ্তর৷ কারণ, যেহেতু পাশ-ফেল প্রথা পুণরায় চালু করার পুরো স্বাধীনতা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ-ফেলের আওতার বাইরে রাখা উচিৎ, নাকি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই প্রথা চালু করা দরকার সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ছয় বছর আগে নো ডিটেনশন পলিসি চালু হওয়ার পর থেকে গোটা দেশে বেড়েছে ড্রপ আউটের হার৷ তার সাথে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে শিক্ষার মান৷ তাই, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই পাশ-ফেল প্রথা চালু করার পথে পা বাড়াবে রাজ্য সরকার, জানিয়েছেন তিনি৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ২৫ অক্টোবর কেবে’র বৈঠকে শিক্ষাক্ষেত্রে বহু সমস্যার সুরাহার পথ বেরিয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যাগুলি ঝুলে রয়েছিল৷ কেবে প্রস্তাব দিয়েছে, পাশ-ফেল প্রথা চালু করার ক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মতি রয়েছে কিনা সেবিষয়েও মতামত চাওয়া হউক৷ এরই পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বলেছে কেবে৷ কারণ, গোটা দেশে অপ্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা প্রচুর৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমাদের রাজ্যেই অপ্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শিক্ষকের হার ৫০ শতাংশের অধিক৷ তবে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের ক্ষেত্রে এনসিটিই গাইডলাইনের সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে৷ সেই সংশোধনের বিষয়ে কেবে’র বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷
এদিন তিনি জানান, পাশ-ফেল প্রথা পুণরায় চালু করা সংক্রান্ত কেবে যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রথমে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নের কাছে যাবে৷ সেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে শিক্ষার অধিকার আইন সংশোধনের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই সংশোধনীর অনুমোদন মিললে তবেই সংসদের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য যাবে৷ ফলে, তাতে অনেকটা সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কারণ, আইন সংশোধন না করে এই প্রথা চালু করা সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন৷