নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুলাই৷৷ এডিসি এলাকাকে খাদ্য পীড়িত ঘোষণা করে বিনামূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেশন সামগ্রী সরবরাহ করা এবং খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় মাথাপিছু ন্যুনতম দশ কেজি করে চাল সরবরাহ করার জন্য জোড়ালো দাবী জানিয়েছে ত্রিপুরা পিপলস পার্টি৷ মূলত এই দুই দফা দাবীতে ত্রিপুরা পিপলস পার্টি সোমবার রাজধানী আগরতলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং রাজভবন অভিযান করে৷ সেখান থেকে এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে স্মারক লিপি প্রদান করে৷ বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারক লিপি প্রদান শেষে ত্রিপুরা পিপলস পার্টির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে কাজ ও খাদ্যের মারাত্মক অভাব দেখা দিয়েছে৷ পাহাড়ী এলাকায় বর্তমানে জুম চাষ ভাল হয় না৷ ফলে সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করেছে৷ ঐসব জনজাতিদের জন্য কাজের ব্যবস্থাও নেই৷ কাজ ও খাদ্যের অভাবে তারা দিনের পর দিন অর্দ্ধাহারে অনাহারে অপুষ্টিতে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন৷ ঐসব এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও খুবই সীমিত৷ ফলে, উপজাতিদের বেঁচে থাকার অধিকার প্রশ্ণ চিহ্ণের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে৷ বেঁচে থাকার অধিকার বা জীবনের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার৷ সেক্ষেত্রে খাদ্যের যোগান না থাকায় বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছেন বিশেষ করে উপজাতি অংশের মানুষ৷ সেই কারণে এডিসি এলাকাকে খাদ্য পীড়িত ঘোষণা করে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা জরুরী হয়ে উঠেছে৷ নেতৃবৃন্দ বলেন, খাদ্য সুরক্ষা আইনে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক৷ কমকরেও মাসে মাথাপিছু দশ কেজি চাল সরবরাহ করা প্রয়োজন৷ খোলা বাজার থেকে অতিরিক্ত চাল ক্রয় করে উপজাতিদের পক্ষে ক্ষুধা নিবারণ প্রায় অসম্ভব৷ এইসব বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গৃহীত না হলে উপজাতি মহল্লায় মৃত্যুর মিছিল আরও দীর্ঘ হবে বলে ত্রিপুরা পিপলস পার্টির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন৷ এইসব বিষয়ে তারা রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন৷ অন্যথায় ত্রিপুরা পিপলস পার্টি আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে বলে হুঁুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে৷
2016-07-12