BRAKING NEWS

পাহাড় লাইনে চলল পণ্যবাহী ইঞ্জিন, শীঘ্রই চালু হবে যাত্রীরেল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুলাই৷৷ লামডিং-শিলচর রুটে অবশেষে পণ্যবাহী রেল চালাতে সক্ষম হয়েছে পূর্বোত্তর সীমান্ত

পাহাড় লাইনে পণ্যবাহী রেল চলে বৃহস্পতিবার৷ ছবি ঃ এন এফ রেলওয়ে
পাহাড় লাইনে পণ্যবাহী রেল চলে বৃহস্পতিবার৷ ছবি ঃ এন এফ রেলওয়ে

রেলওয়ে৷ মাইগ্রেনদিসা স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটে ১২৬০৪ নম্বরের একটি পণ্যবাহী রেল শিলচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে৷ লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে নতুন করে যে ডাইভারশান করা হয়েছে সেই পথেই রেলটি চালানো হয়েছে৷ পাহাড় লাইনে রেল ট্রেকের বেহাল অবস্থার কারণে এই রুট দিয়ে পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী রেল বন্ধ করে দিয়েছিল পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে৷
নতুন এই ডাইভারশানে জিও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনাক্রমেই ত্রিশ মিটার লম্বা রেল ট্রেকটি বসানো হয়েছে৷ ১৭ই জুন থেকে ডাইভারশানের কাজ শুরু হয়৷ ৬ জুলাই এর কাজ শেষ হয়৷ বুধবারই পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলক ভাবে পণ্যবাহী রেল চালানো হবে এই রুটে৷ তাতে সফলতা মিললে যাত্রাবাহী রেল চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে৷ এই ডাইভারশান ট্রেকটি নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জিও সিন্থেটিক সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এই নতুন ট্রেক দিয়ে পণ্যবাহী রেল চলাচল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে৷
পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন এই রুটে পণ্যবাহী রেল চালানো হবে৷ এর সফলতার ভিত্তিতেই যাত্রীবাহী রেল চালানোর চিন্তাভাবনা করা হবে৷ অবশ্য পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে যথেষ্ট আশাবাদী খুব শীঘ্রই শিলচর থেকে যাত্রীরেল চালানো সম্ভব হবে৷ তাতে রাজ্যের জন্যও সুখবর অপেক্ষা করছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে, গত মে মাসের মাঝামাঝিতে রেলওয়ে ট্রেক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাহাড় লাইন৷ মাটি বসে যাওয়ায় ঐ ট্রেক দিয়ে রেল চালানো ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে৷ ফলে, যাত্রীরেল এবং পণ্যবাহী রেল উভয়ই বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকবার পুরনো ট্রেক মেরামতির চেষ্টা করে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের প্রকৌশলীরা৷ কিন্তু, মাটি এতটাই খারাপ যে, সেখানে ট্রেক বসানো সত্বেও রেল চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠছিল না৷ অবশেষে জিও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে ডাইভারশানের উদ্যোগ নেয় পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে৷ বিদেশ থেকে আসা জিও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা মাইগ্রেনদিসা স্টেশনের কাছাকাছি ট্রেক তিনশ মিটার সরানোর পরামর্শ দেন৷ সেই মোতাবেক পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে ট্রেক ডাইভারশানের উদ্যোগ নেয়৷ দিনরাত প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক রেলওয়ে ট্রেক ডাইভারশানের কাজে নিয়োজিত করা হয়৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার এই রুট দিয়ে পণ্যবাহী রেল চালিয়ে সফলতা মিলেছে বলে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে দাবি করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *