পৃথক স্থানে দুই নাবালিকা ধর্ষিতা, অভিযুক্তরা পলাতক

rapelogoনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/কৈলাসহর, ২৫ জুন৷৷ আবারো নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটল দক্ষিণ জেলার বিলোনীয়ার নলুয়ার বরজ কলোনী এলাকায়৷ এ ব্যাপারে বিলোনীয়া মহিলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
দক্ষিণ জেলার বিলোনীয়ার নলুয়ার বরজ কলোনীতে এক নাবালিকা ধর্ষিতা হয়েছে৷ জানা যায়, প্রতিবেশী যুবক যুধিষ্ঠির ওরফে পানু ভট্ট নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে৷ বাড়িতে অন্য কোন লোক ছিল না৷ নাবালিকাটির অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘরে ঢুকে মুখোচাপা দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে৷ বিষয়টি কাউকে না জানাতে নাবালিকাকে নির্দেশ দেয় ধর্ষক৷ বিষয়টিনাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হয়৷ কিন্তু, সুবিচারের কোন আশ্বাস মিলেনি৷ শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে বিলোনীয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷
বিলোনীয়া মহিলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ ধর্ষিতা নবালিকাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে৷ ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷ ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷
কৈলাসহর কাপরঙ্গাবাড়ি গ্রামের এক নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে নিজ বাড়িতে এক রাত্র রাখার পর কৈলাসহর থানার মহিলা পুলিশ ঐ নাবালিকা কন্যাকে অভিযোক্ত গৌরনগর গ্রামের বাসিন্দা ওয়াতির আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে৷ অভিযুক্ত ওয়াতির আলীর বিরুদ্ধে কৈলাসহর থানায় মামলা হয়েছে৷ পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি৷ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পালাতক৷ খবরে প্রকাশ গত ২৩ জুন রাত্র অনুমান ২টার সময় গৌরনগর গ্রামের ওয়াতির আলী, কাপরেঙ্গা গ্রামের এক নাবালিকা কন্যাকে কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে কৈলাসহর এয়ারপোটের নির্জন জায়গায়৷ সেখানে রাত্রে তার ঐ কন্যাকে ধর্ষণ করে ওয়াতির গাভির রাত্রে তার বাড়িতে নিয়ে যায়৷ মেয়েটির বাবা অনেক অনুসন্ধান করে খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে গতকাল সকালে তার কন্যাকে উদ্ধার করে৷ এক সাক্ষাত কারে ঐ নাবালিকা কন্যা এই কথা বলেছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধর্ষণকারী কন্যার পারিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে৷ খবর পাওয়া গেছে ঐ কন্যার বাবা প্রতিদিন রাত্রে গাজার নেশায় লিপ্ত থাকেন৷ সেখানে ঐ অভিযুক্ত সহ আর কয়েকজন প্রতিদিন রাত্রে ঐ কন্যার বাড়িতে গিয়ে তার বাবার সঙ্গে এক সাথে গাজা খান৷ মেয়েটির মা গৃহপরিচারিকার কাজ করে৷ যার ফলে প্রায়ই বাড়িতে থাকে না৷