রাস্তায় ধস, সংস্কারের উদ্যোগ নেই প্রশাসনের, হাসপাতাল-সুকল-বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন গিরিবাসীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৮ জুন৷৷ গ্রাম পাহাড়ে বসবাসকারী গিরিবাসীরা কতটুকু সুখে বসবাস করছেন, নাকি তারা

আঠারমুড়ায় বিলধন পাড়ার রাস্তায় ধস৷ বিপদের ঝঁুকিতে যাতায়াত৷ ছবি নিজস্ব৷
আঠারমুড়ায় বিলধন পাড়ার রাস্তায় ধস৷ বিপদের ঝঁুকিতে যাতায়াত৷ ছবি নিজস্ব৷

সরকারী ভাবে বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তার খবরা খবর ক’জনই রাখেন৷ তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রশাসন ঢাক ঢোল পিটিয়ে সচেতনা মূলক শিবির করে প্রশাসন কতটুকু মানুষের স্বার্থে সজাগ রয়েছে তা জনগনদের কাছে তোলে ধরছে৷ কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি এমনটা নয় বলে অভিযোগ করেন একাংশ শুভবুদ্ধি জনগন৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের ১৮ মুড়া এডিসি ভিলেজের ত্রিপুরা বাস্তসহ বিলাধন পাড়ার৷ বসবাসকারী জনজাতিরা বিপদ সঙ্কুল পথ পার করে যাতায়ত করেছে দীর্ঘ কয়েক দিন যাবৎ৷ প্রশাসনের কাছে বার কয়েক সংস্কারের দাবী জানালেও কাছের কাজ আজও হয়নি৷
আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের আঠারমুড়া পাহাড়ের ৪৩ মাইল এলাকা থেকে মেঠো ও ইটের সলিং পথের উপর নির্ভর করে যাতায়তরে এক মাত্র ব্যাবস্থা বিলাধন ও ত্রিপুরা বস্তিতে যাওয়ার৷ সুকল পড়ুয়া ছাত্র-ছত্রী থেকে ছোট বড় সকলেও ওই পথ ব্যবহার করে যার যার গন্তব্যস্থলে পৌঁছার একমাত্র পথ৷ হাট বাজারে দুই পাড়ার শতাধিক গিরিবাসী জনজাতিরা মুঙ্গিয়াকামী, তেলিয়ামুড়া সহ চাকমাঘাটে আসেন৷ এমন কি অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসাও এই পথের উপর নির্ভরশীল৷ বিগত কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ভারী বর্ষনে ত্রিপুরাবস্তি ও বিলাধন পাড়াতে যাতায়তের একমাত্র পথে ধস পরে বেশ কয়েকটি জায়গাতে৷ ফলে যাতায়তের পথ বন্ধ হয়ে যায়৷ এমন অনেক জায়গা রয়েছে রাস্তা ভেঙ্গে ছড়া গর্ভে চলে গেছে৷ এদিকে দীর্ঘ দিন যাবৎ সুকল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা পঠন পাঠনের জন্যে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না৷ এদিকে ওই এলাকায় কয়েক জন অসুস্থ রোগীও রয়েছেন৷ তাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারছেন বলে তারা জানান৷ এদিকে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান মুঙ্গিয়াকামী ব্লক প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন জানিয়ে ও কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ বিশেষ করে বাঁচার জন্যে চাই খাবার আর সেই খাবারের যোগান কেবল মাত্র বাজার হাট ছাড়া আর কোথায় মিলবে৷ ওই এলাকার বসবাসকারী জনগনদের অভিযোগ যাতায়তের পথে ধস পড়াতে বাজার হাটে যেতে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে৷
এদিকে একাংশ জনগনদের দাবী সরকারী উদ্যোগে বিলম্ব না করে যদি জরুরী কালীন তৎপরতায় বিপদ সঙ্কুল পথ সারায়ের উদ্যোগ গ্রহন করে তবে সুকল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে ছোট বড় সবাই আনায়াশে যাতায়ত করতে পারবে৷ এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের কর্তাবাবুরা ওই এলাকাবাসীদের দাবী পূরণে কি ধরনের ভূমিকা পালন করেন৷