BRAKING NEWS

রাজধানীতে ছিনতাই কান্ডে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৯, উদ্ধার সাড়ে চার লক্ষ

TRIPURA POLICEনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ মে৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরের শিবনগর কলেজ রোড এলাকায় বাইক নিয়ে ধাওয়া করে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত এখনো পর্যন্ত ৯জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম  হয়েছে৷ সর্বশেষ ওড়িশা থেকে আরো একজনকে আটক করে আগরতলায় নিয়ে এসেছে আগরতলা পূর্ব থানার পুলিশ৷ সে নাবালক৷ তার কাছ থেকে নগদ টাকাও উদ্ধার হয়েছে৷ এখনো পর্যন্ত আটক নয়জনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও পাঁচজন মহিলা৷ এই ঘটনায় জড়িত আরো দুজন পলাতক৷ তাদেরকে আটক করার জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷ ছিনতাই করা ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪লক্ষ ৫০ হাজার টাকা৷ আরো ৫০ হাজার টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল হরিদাস দেবনাথ নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারী এক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি নির্মাণের  জন্য ৫ লক্ষ টাকা তুলেন৷ তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সুকটি করে বাড়িতে ফিরছিলেন৷ ঐ সময়ই ছিনতাইকারীরা তাদের পিছু নেয়৷ তারা যখন শিবনগর কলেজটিলা  হাফ উঠছিলেন তখনই পেছন দিক থেকে বাইক নিয়ে এসে ধাক্কা দিয়ে  সুকটি থেকে বাবা-মেয়ে দুজনকেই ফেলে দেয়৷ ঐ সময় টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় ছিনতাইকারীরা৷ ঘটনাস্থলে অন্য কোন লোক ছিল না৷ তাতে চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন আসলেও ছিনতাইকারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি৷ এক্সিস ব্যাঙ্কের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ ছিনতাইকারীদের পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয়৷ ৩০ এপ্রিল বিশ্রামগঞ্জ থেকে এক ছিনতাইকারীকে পাকড়াও করে পুলিশ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে আরো দুজনকে আটক করা হয়৷ এছাড়া তিনজন মহিলাকেও আটক  করা হয়েছিল৷ তাদের কাছ থেকে তিন লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছিল৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের আরো কয়েকজনের নামধাম উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ৷ সে তথ্য অনুযায়ী পুলিশ তাদেরকে আটক করার জন্য প্রয়াস অব্যাহত রাখে৷ জানা যায়  ছিনতাইকারীরা প্রত্যেকেই ওড়িশার বাসিন্দা৷ যারা পালিয়ে গিয়েছিল তারা ওড়িশায় অবস্থান করছিল৷ মোবাইল ফোনের সংকেত অনুযায়ী পুলিশ তাদের অবস্থান নির্ণয় করে৷ সে অনুযায়ী ওড়িশা পুলিশকে অবহিত করে আগরতলার পূর্ব থানার পুলিশ৷ ওড়িশা পুলিশের সহযোগিতায় এক নাবালককে আটক করে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়েছে৷ এই নাবালকের হেফাজত থেকে  ১লক্ষ ৩০ হাজার  টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় জড়িত আরো দুজন পলাতক৷ এখনো পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সাম্প্রতিককালের মধ্যে পুলিশ বড় ধরনের সাফল্যের নজির স্থাপন করেছে৷ এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও এটা প্রমাণিত হয়েছে পুলিশ ইচ্ছে করলে যে কোন মামলার দ্রুত কিনারা করতে সক্ষম হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *