BRAKING NEWS

ই-রিক্সা বিক্রি বন্ধে অভিযানে পরিবহন দপ্তর, দুই দোকানের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ মে৷৷ ই-রিক্সা বিক্রি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজ্যে একাংশের এজেন্ট ই-রিক্সা বিক্রি

ই-রিক্সা বিক্রি বন্ধে শনিবার যুগ্ম ট্রান্সপোর্ট কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পরিবহন দপ্তরের টাক্স ফোর্স বাহিনী৷ ছবি নিজস্ব৷
ই-রিক্সা বিক্রি বন্ধে শনিবার যুগ্ম ট্রান্সপোর্ট কমিশনারের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পরিবহন দপ্তরের টাক্স ফোর্স বাহিনী৷ ছবি নিজস্ব৷

করে চলেছে৷ রাজ্য সরকার ও পরিবহন দপ্তর ই-রিক্সা বিক্রি নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে৷ ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবরের আগে পর্যন্ত যেসব ই-রিক্সা  চলাচল করছে সেগুলোকে বৈধতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার৷ এরপর যেসব ই-রিক্সা রাস্তায় নেমেছে সেগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পরিবহন দপ্তর৷ যেসব এজেন্সি এই রাজ্যে ই-রিক্সা বিক্রি করে চলেছে তাদেরকে ই-রিক্সা বিক্রি বন্ধ করার জন্যও পরিবহন দপ্তর থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তি জারির পর দফায় দফায় দোকানগুলিতে হানাও দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও একাংশের এজেন্ট ই-রিক্সা বিক্রি অব্যাহত রেখেছে৷ শনিবার  পরিবহন দপ্তরের জয়েন্ট কমিশনার অসীম সাহার নেতৃত্বে টাক্স ফোর্স বাহিনী রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকায় হানা দেন৷ নতুননগর, রাধানগর, আগরতলা পুরানো মোটরস্ট্যান্ড, শিবনগর উদিচি ক্লাব সংলগ্ণ এলাকায় হানা দিয়ে পাঁচটি  ই-রিক্সা বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ দুটি ক্ষেত্রে মামলাও দায়ের করা হয়েছে৷ জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট কমিশনার অসীম সাহা জানান, নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও এসব এজেন্সি লুকোচুরি করে ই-রিক্সা বিক্রি করে চলছিল৷ সে কারণেই টাক্স ফোর্স বাহিনী নিয়ে অভিযান চালানো হয়৷ তিনি আরো জানান, রাজ্য সরকার কয়েকটি এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় লাইন্সেস প্রদানের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল৷ যারা উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাদের বিক্রয় করা  ই-রিক্সাগুলো লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ তবে এক্ষেত্রে চালকদের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক৷ সবকিছু বিবেচনা করেই পরিবহন দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান৷ উল্লেখ্য, পরিবহন দপ্তর  ই-রিক্সা বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিলেও গত বেশ কিছুদিন ধরেই রাজধানী আগরতলা শহর এলাকায় প্যাডেল চালিত রিক্সাগুলিতে ব্যাটারি লাগিয়ে চালানোর প্রবণতা ব্যাপক  হারে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এধরনের রিক্সা  ই-রিক্সার চেয়ে আরো বেশি ভয়ংকর৷ এসব রিক্সার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কঠোর কোন  ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পরিবহন দপ্তর৷ এসব রিক্সার বিরুদ্ধে কঠোর কোন ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *