গুয়াহাটি, ০৫ মে, (হি.স.) : পরীক্ষামূলকভাবে লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনের বিধ্বস্ত রুটে মালবাহী ট্রেন চালালো উত্তর-পূর্ব সীমাম্ত রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে য়ব যাত্রীবাহী ট্রেন। মঙ্গলবার নতুন করে চন্দ্রপুর ও জাটিঙ্গা রুটে ধস পড়ায় ওই রুটে অনিৰ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রেল পরিষেবা। ঘন ঘন বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ওই অঞ্চলে রেল সড়কের ওপর ধস কিংবা রেল ট্র্যাকের নীচের মাটি খসে যাওয়ায় বিপত্তির সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নৃপেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য এই খবর দিয়ে জানিয়েছেন, রেললাইন মেরামতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন রেলের বিভিন্ন স্তরের ইঞ্জিনিয়ার-আধিকারিক-কর্মীরা। তবে রেল সারাইয়ের কাজে বড় বাধার সৃষ্টি করছে ধারাবর্ষণ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল থেকে যাত্রী রেল চলাচলে বিঘ্ন শুরু হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে যাত্রী রেল পরিষেবা।
ধারা বৃষ্টির দরুণ পাহাড় লাইনের ওই রুটের নানা জায়গায় বিশেষ করে ফাইডিঙে রেল ট্র্যাকের নীচের মাটি খসে যাওয়া এবং ডিটেকছড়া এলাকায় এতদিন ধস নামছিল। এবার নতুন সংযোজন চন্দ্রনাথপুর-জাটিঙ্গা এলাকা।
এদিকে এনএফ রেলের সিপিআরও পিজে শর্মা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের গুয়াহাটি-শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। ৬ তারিখের শিলচর-গুয়াহাটি কা়্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে। তবে এই ট্রেন দুটি গুয়াহাটি-শিয়ালদার মধ্যে রীতিমতো যাতায়াত করবে। আবহাওয়া অনুকূল না-হওয়া পর্যন্ত পাহাড় লাইনে কবে নাগাদ যাত্রী ট্রেন চলবে সে-সম্পর্কে কোনও সবুজ সংকেত দিতে পারেননি রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে দ্রুত সংস্কারের দাবিতে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে জরুরি স্মারকপত্র দিয়েছেন করিমগঞ্জের এআইইউডিএফ সাংসদ রাদেস্য়াম বিশ্বাস। গতকাল দিল্লিতে প্রভুর সঙ্গে দেখা করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বরাক উপত্যকার মুনুযের কেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তার বর্ণনা করেছেন বিশ্বাস। এছাড়া বরাকের কয়েকটি রুটে নির্মীয়মাণ ব্রডগেজ লাইনের কাজ যে নিম্নমানের হচ্ছে তা জানিয়ে সে-ব্যাপারে তার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, লামডিং-বদরপুর-শিলচর রেল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার পাশাপাশি প্রতিবেশী তিন রাজ্য ত্ৰিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরের জনসাধারণ বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন।