ইসলামাবাদ, ২৭ মার্চ৷৷ আবার আত্মঘাতী বিস্ফোরণের শিকার পাকিস্তানে৷ লাহোরের এক পার্কের বাইরে তীব্র বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯ জন৷ ঘটনায় জখম ৩০০ জনের মধ্যে দশজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
নাশকতার নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের খাসতালুক৷ রবিবার পূর্ব পাকিস্তানের লাহারের জনবহুল এলাকা আলামা ইকবাল টাউনের গুলশন ই ইকবাল পার্কের পার্কিং স্ট্যান্ডে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে৷
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কর্মরত আপতাকালীন উদ্ধারবাহিনী রেসকিউ ১১২২’-এর সূত্রে জানা গেছে রবিবার গুলশন ইকবালপার্কের বাইরে এক বিস্ফোরণে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ওই ঘটনায় জখম হয়েছে আরো ৩০০ জন৷ জখমের তালিকায় বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু বলে জানা গিয়েছে৷ তাদের শহরের জিন্না এবং শেখ জাইদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ আহতদের মধ্যে দশজনের পরিস্থিতি সংকটজনক৷
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটনায় আত্মঘাতী জঙ্গী৷ তবে ঠিক কি ধরনের বিস্ফোরক এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, সে সম্পর্কেএ এখনো অন্ধকারে পুলিশ৷ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল৷ এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে৷ প্রশাসনের তরফ থেকে গোটা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ তদন্তকারী টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করছে৷ এখনও পর্যন্ত কোন জঙ্গী সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি৷ তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে তালিবান জঙ্গীরাই এই বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত৷ প্রসঙ্গত কিছুদিন অন্তর অন্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় তালিবান জঙ্গীরা হামলা ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বহু লোকের প্রাণ নিধন করছে৷ শতাধিক শিশুকে গুলি করে হত্যার মতো ঘটনা গোট বিশ্বে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব যখন একত্রিত হয়ে লড়াই করার জন্য সহমত পোষণ করছে তখন পাকিস্তানের মাটিতে এই ধরণের বিস্ফোরণ রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করা হয়েছিল যে এই দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের জন্ম৷ এই সন্ত্রাস এখন গোটা বিশ্বকে ছারখার করে দিচ্ছে৷
এদিকে এদিনের বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আগামীদিনে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
অপরদিকে, এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ বিভিন্ন বিমাণঘাটিতে, রেল স্টেশনে এবং জনবহুল স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে৷ তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে সন্দিগ্দ ব্যক্তিদের উপর নজরদারী চালানো হচ্ছে৷ তল্লাসী অভিযান চালানো হচ্ছে জোরদার করা হয়েছে৷ অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে রিজার্ভ রাখা হয়েছে৷ প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাদেরকে নামোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে৷ প্রাশাসনের কর্মকর্তারা নজরদারী চালানো হচ্ছে৷
2016-03-28