নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৭ ফেব্রুয়ারি৷৷ ‘বই পড়ুন, বই পড়ান, পাঠক তৈরী করুন৷ পুস্তুকপ্রেমীদের মধ্যে এই বার্তা ছড়িয়ে দিয়েই শনিবার থেকে সূচনা হল খোয়াই বইমেলার৷ দীর্ঘদিন অসুস্থতাজনিত কারনে খোয়াইয়ের বাইরে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক সমীর দেবসরকার৷ চিকিৎসা সেরে খোয়াইতে পৌঁছেন ৫ দিনব্যাপী বইমেলার সূুচনা করলেন শনিবার৷ সেই সাথে ত্রিপুরা সংসৃকতি সমন্বয় কেন্দ্র, খোয়াই বিভাগীয় কমিটির মুখপত্র আহ্বান-এর বইমেলা সংখ্যার আবরন উন্মোচন করলেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক সমীর দেবসরকার৷
‘বই হবে তেমন বই, যে বই মানুষকে সচেতন করে৷ যে বই মানুষকে, সমাজকে, জীবনকে ভালবাসতে শেখায়৷ বেই হবে তেমন বই৷ ভোগবাদী দুনিয়ার যেমন লেখক স্বাধীন নন, তেমনি প্রকাশকও স্বাধীন নয়৷ তাদের মিস্তিস্ক পর্যন্ত কিনে নেওয়া হচ্ছে৷ ব্রেন কিনে নেওয়া হচ্ছে৷ তাই বলে কি ভারতবর্ষে গুনি লেখক নেই, আছে৷ কিন্তু তারপরও একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এভাবেই নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন উদ্বোধন সমীর দেবসরকার৷
অপরদিকে দ্য অল ত্রিপুরা পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স এসোসিয়েশন -এর সেক্রেটারি উত্তম চক্রবর্তী উনার ভাষনদানেকালে বললেন, আধুনিক যুগেও ই-বুক থেকে শুরু করে প্রযুক্তিবিদ্যার যে মাধ্যমগুলিই পাইনা কেন, বইয়ের বিকল্প বই৷ ১৯৮১ সালের ৩০ শে মার্চ আগরতলার রবীন্দ্রভবনে প্রথম বইমেলার আয়োজন করা হয়৷ সেই আগরতলা বইমেলা উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গনে ৩৪তম বর্ষে পা রাখল৷ ২৫শে ফেব্রুয়ারী আগরতলা বইমেলার সমাপ্তি ঘটে৷ বর্তমান প্রজন্মকে অতীত থেকে বর্তমানে নিয়ে যাওয়াজ্ঝর সেতু হল বইমেলা, বললেন উত্তম চক্রবর্তী৷
অপরদিকে বইয়ের প্রতি সকলের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য বইমেলাকে ব্যবহার করার আহ্বান জানালেন খোয়াই জিলা পরিষদের সহ -সভাধিপতি বিদ্যুৎ ভট্টচার্য্য৷ এদিনকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন ও ভাইস-চেয়ারপার্সন যথাক্রমে শুক্লা সেনগুপ্তা ও কানন দত্ত৷ ছিলেন খোয়াইয়ের বইপ্রেমী অসংখ্য মানুষ৷ স্থানীয় লেখক, প্রকাশক এবং বিশিষ্টজনেরা৷ এবারকার বইমেলায় আগামী ২৯শে ফেব্রুয়ারী কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ স্থানীয় কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন৷ এছাড়া সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানও থাকবে প্রতিদিনই৷