নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ একদিকে রাজ্যের একের পর এক নির্বাচেন বামফ্রন্ট প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হচ্ছে আর অন্যদিকে শাসক দলের চুনি পুটি থেকে রাখব বোয়াল নেতৃত্বদের বিরুেদ্ধে চারিত্রিক অধঃপতনের অভিযোগ উঠছে৷ যার ফলে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে এক উপজাতি রমনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো শাসক দলের এক গুণধর ব্রাঞ্চ সম্পাদকের বিরুদ্ধে৷ ঘটনা বীরগঞ্জ থানাধীন পূর্ব দুলুমা ভিলেজ কমিটির অধীন ডালারাই পাড়া এলাকায়৷
ঘটনার বিস্তারে জানা যায়, বুধবার বিকালে পূর্ব দুলুমা ভিলেজের ডালারাই পাড়ার বাসিন্দা রমজয় রিয়াং (২৪) এর বাড়ীতে মদ্যপান করতে যায় শাসক দলের চেলাগাঙ মুখ ব্রাঞ্চ কমিটির সম্পাদক যুগল সাধন জমাতিয়া রমজয়ের নিজ ঘরেই যুগল সাধন মদের আসর বসায়৷ কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান করে ফেলায় রমজয় রিয়াং মাটিতে অচৈতন্য হয়ে পরে৷ আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে গুনধর ব্রাঞ্চ সম্পাদক তার যৌন লালসাকে চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বিছানা শোয়ে থাকা রমজয়ের মদ্যমও স্ত্রীর পাশে গিয়ে শুয়ে পরে৷ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জনৈক এলাকাবাসী রমজয়ের ঘড়ের ভিতরে দস্তা দস্তীর শব্দ শুনতে পায়৷ তখন ওই এলাকাবাসী রমজয়ের দাদা সঞ্চিত রিয়াং (৩০) ও বৌদি সবিতা রিয়াংকে নিয়ে মরজয়ের ঘড়ের ভিতরে প্রবেশ করে৷ ঘরে প্রবেশ করে তারা ব্রাঞ্চ সম্পাদক যুগল সাধন জমাতিয়াকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়৷ গুনধর ব্রাঞ্চ সম্পাদক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীরা তাকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়৷ এলাকাবাসীর হাত থেকে ছাড়া পেয়ে কোন রকম পালিয়ে বাঁচে যুগল সাধন জমাতিয়া৷ এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার ঘর পেয়ে রমজয় রিয়াং এর বাড়ীতে ছুটে যান অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজিত প্রার্থী রনজিৎ দাস সহ বিজেপির কর্মীরা৷ তারা ধর্ষনের শিকার হওয়া উপজাতি রমনি ও তার স্বামীর সাথে কথা বলেন৷ বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের পাশে থেকে সকল রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়৷ বিজেপি নেতা রনজিৎ দাস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান৷ পরিবারটি নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেন৷ কারন শাসক দলের ক্যাভারদের রক্তচক্ষুর ভয়ে ধর্ষিতার স্বামী পুলিশের দারস্থ হওয়ার সাহয্য পাচ্ছে না৷ রিয়াং সমাজের চৌধুরীর কাছ থেকে বিচারের আশায় রয়েছে ধর্ষিতা৩র স্বামী৷ তবে সমাজে সুষ্ঠ বিচার না পেলে আইনের তার উপর উঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বিকার করেন৷ শাসক দলের ছত্রজায়ার থাকা যুগল সাধন জমাতিয়া তার কুকর্মকে ডাকা দেওয়ার জন্য সুকৌশলে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক রড জড়িয়ে দেন৷ তিনি দাবী করেন বিরুধী তথা আই পি এফ টি এর কর্মীরা তাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে৷ এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করচে৷ তবে ব্রাঞ্চ সম্পাদককে বাঁচানোর জন্য ইতিমধ্যে শাষক দলের ক্যাডাররা ময়দানে নেমে পরেছে৷
2016-02-19

