অপসংসৃকতি ও ব্যাভিচারের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে আগরতলা

Agartalaনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ সংসৃকতির পীঠস্থান রাজধানী আগরতলা শহর অপসংস্কৃতি ও ব্যাভিচারের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে৷ দেহ ব্যবসা ক্রমস নতুন নতুন কারদায় বেড়ে চলেছে৷ পুলিশ সবকিছু জেনেশুনেও কুম্ভকর্নের নিদ্রায় নিদ্রিত৷ কালেভদ্রে ব্যাভিচারী ও ব্যাভিচারীনিরা আইক হলেও আইনী ফাঁকগলে থানা থেকেই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে৷
রাজধানী আগরতলা শহরে নতুন নতুন কায়দায় দেহ ব্যবস সহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপ সংগঠিত হচ্ছে৷ এসব বিষয় সম্পর্কে আরক্ষা প্রশাসন সম্পূর্ণ ভাবে অবগত থাকলেও কঠোর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ একাংশ মহিলা শাখা সিঁদুর পরিহিত অবস্থায় দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে৷ এটি একটি নতুন কৌশলও বটে৷ গত পরশু রাতে ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ণ এলাকায় একটি মারুতি গাড়ি থেকে এক মহিলা ও এক যুবককে আটক করেন স্থানীয় জানান৷ তাদেরকে আটক করে পশ্চিম থানার পুলিশের হাতে তুলে নেওয়া হয়৷ পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশকে আটক মহিলা ও যুবক নিজেদেরকে স্বামী স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে আইনের ফাঁক গলে ছাড়া পেয়ে যায়৷ একই মহিলাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গতকাল রাতে একই মারুতি গাড়ি থেকে অসংলগ্ণ অবস্থায় আটক করেন রামনগর প্যারারীবাগান এলাকায় জনগন৷ তাদেরকেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া৷ আটক মহিলা এক্ষেত্রেও অপর এক যুবককে স্বামী বলে পরিচয় দেয়৷ এরদ্বারা স্পষ্ট ভাবেই প্রমাণিত হচ্ছে ব্যাভিচার কোন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে পুলিশ এসব ক্ষেত্রে আইনী কঠোর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের তিনটি রেষ্টরেন্টে পশ্চিম জেলার পরিচিত পুলিশ সুপার শমিষ্টা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জেলের ঘানি টানালেও এক্ষেত্রেও পুলিশের এসব পদস্থ আধিকারিকরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? এনিয়েও জনমনে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়৷