BRAKING NEWS

সংগীত মানবিক মূল্যবোধ জাগাতে সহায়ক ভূমিকা নেয় ঃ জাগরণ সম্পাদক

Geeta Tirthaনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জানুয়ারি৷৷ নয়া প্রজন্মকে মানবিকতার বন্ধনে আবদ্ধ করার অন্যতম ক্ষেত্র হল সংগীত চর্চা৷ সংগীত মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে৷ শিশুকাল থেকেই প্রতিটি ছেলেমেয়েকে সংসৃকতির প্রতি মনোনিবেশ করানো সুস্থ সংসৃকতি মনোভাবাপন্ন প্রতিটি অভিভাবকের অন্যতম দায়িত্ব৷ বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত একাডেমির অডিটোরিয়ামে গীততীর্থ সংগীত বিদ্যালয়ের ২২তম বার্ষিক সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী নান্দনিক অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ভাষণে কথাগুলি বলেন রাজ্যের প্রথম বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ‘জাগরণ’ পত্রিকার সম্পাদক পরিতোষ বিশ্বাস৷ তিনি আরো বলেন, আমরা যারা মানবিকতায় বিশ্বাস করি, শিশুকে ভালোবাসি, ফুলকে ভালোবাসি, তারা প্রত্যেকেই সংগীতকেও ভালোবাসি৷ সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র গীততীর্থ দীর্ঘ ২২ বছরের পথ চলায় সুরের জগতে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এসেছে তাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ [vsw id=”fiHdkD5Zob4″ source=”youtube” width=”325″ height=”244″ autoplay=”yes”]গীততীর্থের অধ্যক্ষ প্রাণতোষ কর্মকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাগরণ সম্পাদক বলেন, তিনি আমারও শিক্ষক ছিলেন৷ বার্ধক্যকে সংগীতের মধ্য দিয়ে জয় করে তিনি একজন প্রাণচঞ্চল যুবকের মতোই সংগীতকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন৷ এই বয়সেও একটি সুকল পরিচালনা করার অদম্য ইচ্ছে শক্তি যে তাঁকে জীবনপথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারও উল্লেখ করেন তিনি৷ এধরনের সংগীত সাধক ও সংগীত গুরুর সংস্পর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরো সংগীত প্রতিভায় প্রস্ফুটিত করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন৷ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সাংসৃকতিক ব্যক্তিত্ব বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংসৃকতি সম্মেলন কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রাধাকান্ত সরকার বলেন, বর্তমানে অপসংসৃকতির যে উদ্যম নৃত্য চলেছে তা থামাতে হবে৷ এধরনের উদ্যম নৃত্য ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বিনাশ করছে, ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ এজন্য অভিভাবকদের দায়ী করেছেন তিনি৷ শিশুমনকে বিনষ্ট করার জন্য অভিভাবকরাই দায়ী৷ মা-বাবাই শিশুদের উপর মারাত্মক অত্যাচার চালাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ শিশুর খেলাধূলা থেকে শুরু করে যাবতীয় আনন্দ উল্লাসকে স্তব্ধ করে শিক্ষার নামে যে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটাই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে৷ তাতে চরম সর্বনাশ হচ্ছে৷ সে কারণেই শিশুদের শিশুমনকে সঠিকভাবে বিকশিত হতে সাহায্য করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন৷
গীততীর্থ সংগীত বিদ্যালয়ের ২২তম দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে এক মনোজ্ঞ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট সাংসৃকতিক ব্যক্তিত্ব রাধাকান্ত সরকার এবং কলকাতার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শিবানী দাসকে ‘গীততীর্থ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ এছাড়া গত ১৩ ডিসেম্বর আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারীদের এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক অগ্ণিকুমার আচার্য, প্রিয়দর্শিনীর কর্ণধার সরজিৎ চৌধুরী, অমিত ভৌমিক৷ গীততীর্থের অধ্যক্ষ প্রাণতোষ কর্মকার স্বাগত ভাষণ দেন৷ অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সংগীতাঞ্জলী পরিবেশিত হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *