নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি৷৷ রেল নিয়ে রাজ্যবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ হলেও আগামীদিনে চাহিদা মোতাবেক কতটা আদায় করা সম্ভব হবে সে বিষয়ে কিছুটা সংশয় রয়েই যাচ্ছে৷ মূলত, ব্রডগেজ ট্রেনের পরীক্ষামূলক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে রেল রাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে আগামীদিনে রেল নিয়ে রাজ্যের প্রাপ্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি৷ পর্যায়ক্রমে রাজ্য থেকে ব্রডগেজে রেল গাড়ি ছুটলেও সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস কিংবা রাজধানী এক্সপ্রেসের পরিষেবা পাওয়া নিয়ে রেল রাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেনি৷ এদিন, কোন কোন রেল রাজ্য থেকে চলবে এই প্রশ্ণের উত্তরে রেল রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ সিনহা নির্দিষ্ট করে কিছু না জানালেও সরাসরি কলকাতা কিংবা পূর্বোত্তরের বাইরে অন্য কোন রাজ্যের সাথে যুক্ত হওয়া আপাতত সম্ভব নয় বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ তাতে স্পষ্ট ব্রডগেজে রাজ্য থেকে রেল যাত্রা শুরু হলে সরাসরি লামডিং কিংবা গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হবে৷ কলকাতা, দিল্লী কিংবা অন্য কোন রাজ্যে সরাসরি রেল যোগে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম৷
এদিন, তিনি আগরতলা-আখাউড়া রেল যোগাযোগ খুব শীঘ্রই স্থাপন করা হবে বলে সওয়াল করলেও অর্থমঞ্জুরের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি৷ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু রাজ্যের দাবি মেনে এবং বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে জোর দিয়ে কিছু জানাননি৷
এদিকে, রাজ্যের দাবি মোতাবেক পৃথক রেল ডিভিশন চালু করার প্রশ্ণেও রেল রাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন জল ঢেলে দিয়েছেন৷ পাশাপাশি রেলওয়ে রিক্র্যুটমেন্ট বোর্ড কিংবা রেল ওয়েল রিক্র্যুটমেন্ট সেন্টার এই রাজ্যে চালু করার বিষয়টিকেও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি৷ রেলমন্ত্রী জানান, নিয়ম অনুযায়ী একটি জোনে একটি মাত্র রেলওয়ে রিক্র্যুটমেন্ট বোর্ড গঠন করার বিধান রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে এই রাজ্যে পৃথকভাবে রেলওয়ে রিক্র্যুটমেন্ট বোর্ড কিংবা রেলওয়ে রিক্র্যুটমেন্ট সেন্টার গঠন করা সম্ভব নয়৷ তাতে, রাজ্যে ব্রডগেজে রেল পরিষেবা চালুর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বপ্ণ বাস্তবায়িত হচ্ছে ঠিকই৷ কিন্তু দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাঁর অনেকাংশেই এই রাজ্য বঞ্চিত হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে৷