গুয়াহাটি, ১০ জানুয়ারি, (হি.স.) : এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার প্রকৃতির রোষ পড়েছে অসম| গত চার জানুয়ারি ভোরে সংঘটিত ভূমিকম্পের আতংক এখনও যায়নি| এরইমধ্যে গতকাল রাতে ঝড়-তুফান-বজ্রপাত-শিল-সহ অকাল বৃষ্টির ফলে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাণহানির পাশাপাশি বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে| ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ফলে গোসাঁইগাঁওয়ে এক কিশোর এবং গহপুরে এক মহিলার মৃতু্য এবং তামুলপুরে এগারোজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে| তাছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডবে বহু বাড়িঘর তছনছ করে দেওয়ায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন| হাজার হাজার জমির রবিশস্যও নষ্ট হয়েছে এই অকাল ঝড়-বৃষ্টির ফলে|
খবরে প্রকাশ, গোসাঁইগাঁও মহকুমার কাশিয়াবাড়িটাপুতে বজ্রপাতে দিলীপরাভার বারো বছর বয়সি ছেলে লুকাসের মৃতু্য হয়েছে| তাছাড়া বাকসা জেলার তামুলপুর মহকুমার ফেহুয়াঝাড় গ্রামে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এগারোজন| তাঁরা যথাক্রমে রাজু হাঁসদার ছেলে সবেন হাঁসদা (১৫), দোলা মার্দির মেয়ে রীনা মার্দি (১৬), আলপিনা সুরেনের মেয়ে রুমালি সুরেন (৯), লক্ষ্মীরাম সুরেনের ছেলে মার্টিন সুরেন (১৮), মঙ্গল মার্দির এক মেয়ে ও এক ছেলে লক্ষ্মী মার্দি (১৮) ও বাবলু মার্দি (১৭), গেলা মার্দির মেয়ে রুবি (১৮), রবার্ট হাঁসদার মেয়ে প্রমিলা হাঁসদা (৯), সূর্য মূর্মুর ছেলে নীপল মূর্মু (১৭), লঙ্কেশ্বর সুরেনের রাজেশ সুরেন (২২) এবং রাজেন দাসের পত্নী বিষয়া দাস (৫০)| এছাড়া বাকসা জেলার বাগানপাড়া রেভিনিউ সার্কলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রবিশস্যের পাশাপাশি বগুলামারির নীলকান্ত কলিতার একটি গাভী ও শরত কলিতা নামের ব্যক্তির একটি হালের গরু বজ্রপাতে মারা গেছে| একইভাবে কলাইগাঁও, নগাঁও জেলা, বটদ্রবা, গোলাঘাট, বেঁকাজান-সহ তিতাবর মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যোরহাট, কাজিরঙা, দলগাঁও, বাঙাইগাঁও জেলা, অভয়াপুরি, গহপুর, বাহনা প্রভৃতি বহু অঞ্চলে এই অকাল ঝড়-বৃষ্টি-সহ বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে|
2016-01-10