ইসলামাবাদ, ৮ জানুয়ারি (হি.স.) : জঙ্গি দমনে ভারতকে সহযোগিতার আশ্বাস দিল পাকিস্তান| সম্ভবত আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারত-পাক বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক| পাকিস্তান সরকারের আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছেন| পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা নিয়ে গতকাল উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ| ওই বৈঠকের পর ভারতের সঙ্গে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করে ইসলামাবাদ|
উল্লেখ্য, ভারত সাফ জানিয়েছে, আলোচনায় বসার আগে পাকিস্তানকে কাজ করে দেখাতে হবে| পাঠানকোট হামলায় পাক-যোগ নিয়ে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে| সেগুলির ভিত্তিতে পাকিস্তানকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে| তাই আলোচনা শুরু করার বিষয়টি পাকিস্তানের ওপরই নির্ভর করছে| বল এখন পাকিস্তানের কোর্টে|
পাঠানকোট হামলা নিয়ে গতকাল ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির খান জানজুয়া, বিদেশ বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ, অর্থমন্ত্রী ইশাক দার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলি খান, বিদেশ বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহযোগী তারিক ফাতেমি, বিদেশ সচিব আইজাজ আহমেদ চৌধুরী, আইবি প্রধান আফতাব সুলতানের সঙ্গে বৈঠক করেন শরিফ|
বৈঠকে শরিফ বলেন, সন্ত্রাস-মোকাবিলার উদ্যোগে পাকিস্তান প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত| বৈঠকে ভারতের দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাঠানকোটের ঘটনায় কেউ জড়িত খুঁজে পাওয়া গেল কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও বৈঠকে নেওয়া হয়েছে| পাঠানকোটের হামলার পর দুদেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া আলোচনা যাতে ঠিক পথে এগোয় তা নিশ্চিত করে জানজুয়াকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শরিফ|
উল্লেখ্য, পাঠানকোটের ঘটনার পর পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন| পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ভারতের দেওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পাঠানকোট হামলায় তদন্ত শুরুর জন্য আইবি প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন শরিফ| ভারতের পাঠানো তথ্যপ্রমাণ ইন্টেলিজেন্স বু্যরো (আইবি) প্রধান আফতাব সুলতানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে পদস্থ পাক আধিকারিকরা জানিয়েছেন| যদিও এক পাক আধিকারিক বলেছেন, ভারত এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ পাঠিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়| ওই তথ্যপ্রমাণ মূলত টেলিফোন নম্বর| কাজেই পাকিস্তান আরও তথ্যপ্রমাণ ভারতের কাছে চাইবে বলে জানা গেছে|