BRAKING NEWS

বুনিয়াদী শিক্ষা অধিকার-এর উদ্বোধন, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরকে দ্বিখন্ডিত করে দুর্নীতিকে পোক্ত করার প্রয়াস

Tapan Buniyadiনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জানুয়ারি৷৷ এলিমেন্টারি এডুকেশন তথা বুনিয়াদী শিক্ষা অধিকারের অফিসের উদ্বোধন হল শুক্রবার৷ এদিন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী এই অফিসের উদ্বোধন করেছেন৷ সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে৷ যদিও রাজ্য সরকারের বক্তব্য কাজের সুবিধার জন্য এমন করা হয়েছে৷ বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরকে যে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেগুলি হল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এলিমেন্টরি এডুকেশন এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সেকেন্ডারী এডুকেশন৷
দপ্তর ভাগ করা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা গুঞ্জন উঠেছে৷ [vsw id=”3GFkIfvNdBo” source=”youtube” width=”325″ height=”244″ autoplay=”yes”]বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীন বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু রয়েছে যাতে ঢালও পরিমাণে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসছে৷ এইসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মিড ডে মিল, সর্ব শিক্ষা অভিযান, রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান, সাক্ষরতা অভিযান ইত্যাদি৷ এইসব প্রকল্পে প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসছে৷ আর এইসব বরাদ্দ অর্থের ব্যাপক লুটপাট চলছে৷ বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রূপায়ন নিয়ে অনিয়মের ঘুরতর অভিযোগ উঠেছে৷ তদন্ত চলছে৷ আদালতে মামলাও চলছে৷ অভিযোগ রয়েছে দপ্তরের একাংশ কর্মী ও অফিসার দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে দপ্তরকে ভাগ করার পেছনে বিশেষ কোন রহস্য রয়েছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অভিমত৷
বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর বুনিয়াদী শিক্ষা অধিকার (এলিমেন্টারী এডুকেশন) এবং সেকেন্ডারী এডুকেশন ডাইরেক্টরেট হিসেবে ভাগ হয়েছে৷ এখন প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী বুনিয়াদী এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সেকেন্ডারী এডুকেশন হিসেবে কাজ করবে৷ পুরানো মহাকরনে সর্বশিক্ষা অভিযানের রাজ্য মিশন অধিকর্তা কার্যালয়ে আপাতত কাজ করবে বুনিয়াদী শিক্ষা দপ্তর৷ সেকেন্ডারী এডুকেশন দপ্তর পূর্বতন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়েই থাকবে৷ আজ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদীপ জ্বালিয়ে বুনিয়াদী শিক্ষা দপ্তরের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ উদ্বোধকের ভাষণে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা যেমন পড়াশুনার ব্যাপারে যত্নবান থাকবেন তেমনি সমাজের সকল অংশের মানুষের অংশ গ্রহণও একান্ত প্রয়োজন৷ প্রসঙ্গক্রমে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সাক্ষরতা কর্মসূচীতে ত্রিপুরা সারা দেশেরর শীর্ষে৷ তবে এতে একশ শতাংশ লক্ষ্য পুরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷ এই কাজে রাজ্য যেমন সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তেমনি সুকল ছুট ছাত্রীছাত্রীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সমান সাফল্য পাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন৷ তিনি জানান, একটি নতুন বাড়ি নির্মান করা হচ্ছে৷ সেই বাড়িতেই স্থানান্তরিত হবে বুনিয়াদী, সেকেন্ডারী এডুকেশন, উচ্চ শিক্ষা, শারীর শিক্ষা দপ্তর৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব ডকে রাজেশ্বর রাও রাজ্য শিক্ষার অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা যাতে গুণগত শিক্ষা লাভের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার জন্য সকলকে উদ্যোগী হতে হবে৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক মিহির দেব শিক্ষার গুণগত মানের উপর গুরুত্বারোপ করেন৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজ্য শিক্ষা গবেষণা ওপ্রশিক্ষণ পর্ষদের অধিকর্তা রতীশ মজুমদার৷ স্বাগত ভাষণ দেন বুনিয়াদী শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা উত্তম কুমার চাকমা৷ তিনি জানান, প্রায় ৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই দপ্তরের অধীনে থাকবে৷ সভাপতিত্ব করেন সেকেন্ডারী এডুকেশন দপ্তরের অধিকর্তা ডা, পি কে গোয়েল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *