নিয়মিতকরণের দাবীতে সিপাহীজলায় জাতীয় সড়ক অবরোধ বন দপ্তরের ক্যাজুয়েল কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২১ জুন৷৷ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বন দপ্তরের অনিয়মিত কর্মীরা নিয়মিতকরনের দাবিতে

সিপাহীজলায় জাতীয় সড়ক অবরোধ অনিয়মিত বনকর্মীদের৷ ছবি নিজস্ব৷

সিপাহীজলার অভয়ারন্যের মূল গেইট বন্ধ করে দিয়ে পথে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে৷ এদিন সিপাহীজলার ক্যাজুয়েল বনকর্মী সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার বনকর্মীরাও এক সঙ্গে জড়ো হয়ে আন্দোলনে নামে৷ গোটা রাজ্যের ৩৫৮ জন অনিয়মিত বনকর্মী রয়েছে৷ তারা জানায় বিগত ১৫ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দৈনিক ১৭০ টাকা হাজিরায় কাজ করছে৷ বহুবার কর্মীরা নিয়মিতকরনের দাবি জানিয়েও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি দপ্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষশ্ঢ কর্তৃপক্ষ৷ শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছু জুটেনি তাদের ভাগ্যে৷ আন্দোলন চলাকালে ৩ ঘন্টা পর সিপাহীজলা মূল ফটকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে ৩ জন বন দপ্তরের আধিকারিক৷ সিসিএফ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ডিসিএফ সিকে দাস এবং ডিএফও গৌতম দাস৷ আধিকারিকরা আন্দোলনরত কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন৷ আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ণের কোন সদত্তোর  দিতে পারেনননি৷ কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলেন৷ কোন রকম ভাবে আন্দোলনকারীদের লিখিত আবেদন করার কথা বলে কেটে পড়েন৷ আন্দোলনকারীরা তাদের কথায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ এদিকে সিপিএমের ফ্ল্যাগ নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে৷ অন্যদিকে বিশালগড় সিআইটিইউ এর ইশারায় সিপাহীজলা কোন কর্মীই এই আন্দোলনে সামিল হতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন৷ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্যাজুয়েল কর্মীরা৷ আস্তে আস্তে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ এদিকে শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ রাঠোর জানান অর্থমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দেখা করতে যাওয়ার পর উনি দেখা করেননি কর্মীদের সঙ্গে৷ শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার অনিয়মিত কর্মীরা উপায় না পেয়ে জাতীয় সড়কের উপর বসে অবরোধ করে টানা দেড় ঘন্টা৷ অবরোধ কালে ছুটে আসেন অতিরিক্ত জেলা শাসক মিহির লাল দাস, মহকুমার পুলিশ আধিকারীক, ডিসিএম গৌরবৃন্দ দাস এবং বিশাল টিএসআর বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশবাহিনীর কর্মীরা৷ কোন রকম ভাবে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর পাল বিক্ষোভকারী শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ রাঠোরের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়৷ পুনঃরায় অনিয়মিত শ্রমিকরা সিপাহীজলা অভয়ারন্যের মূল ফটকের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে আরম্ভ করে৷ তাদের দাবী যতক্ষন না পর্যন্ত দাবী পূরণ হয় বিক্ষোভ চলবে বলে পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়৷ শ্রমিকদের আশ্বাস দিতে হবে বনমন্ত্রী হোক অথবা পিসিসি এফই হোক যে ক্যাজুয়েল থেকে নিয়মিতকরণ করার জন্য সময় সীমা দিতে হবে নয়তো সারারাত ব্যাপী আন্দোলন চালাবে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা৷