নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর৷৷ সরকারি দপ্তরে কর্ম-সংসৃকতি ফেরাতে সরকারই বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে৷ অফিস ঘেরাও থেকে শুরু করে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, সবই করবে সরকার৷ বর্ষশেষে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের এইভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়ে সতর্ক করলেন খাদ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব৷ তাঁর কড়া বার্তা, অফিসে সরকারি কর্মচারীদের গাফিলতি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে৷ কারণ, উন্নয়ন কাজ ব্যহত হলে তা মেনে নেওয়া যায় না৷
আজ ধলাই জেলায় দূর্গা চৌমুহনী পঞ্চায়েত সমিতি এবং বিএসি-র উদ্যোগে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ওই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খাদ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব প্রচন্ড বিরক্তি প্রকাশ করেন৷ মূলত, সরকারি অফিসগুলিতে কর্মা-সংসৃকতি লাটে উঠেছে৷ বিষয়টি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, সরকার স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে৷ এদিন খাদ্য মন্ত্রী বলেন, সরকারি দপ্তরগুলিতে অনেকেই সময় মতো আসেন না৷ দুপুর ১২টা -১টা নাগাদ অনেকে অফিস যান৷ শুধু তাই নয়, অনেকে একদিন অনুপস্থিত থেকে পরের দিন অফিসে গিয়ে দুই দিনের স্বাক্ষর দিয়ে দেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন, সরকারি দপ্তরগুলিতে ক্রমশ ফাইল স্তুপ হচ্ছে৷ কিন্তু, সে-দিকে কারোর কোন নজর নেই৷
তাঁর কথায়, সরকার এবং শীর্ষ আধিকারিকরা বিষয়টির নজরে না রাখলে উন্নয়ন কাজ ব্যহত হবেই৷ সরকারি কর্মীরা সঠিক সময়ে কাজ সমাপ্ত নো করলে ত্রিপুরার উন্নয়নে তার প্রভাব পরবেই৷ তাঁর সাফ কথা, আমরা যদি ওই সমস্ত বিষয় নজরে না রাখি তাহলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা জনগনের কাছে পৌছে দেওয়া সম্ভব নয়৷
তাই তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সরকারি দপ্তরে কর্ম-সংসৃকতি ফেরাতে সরকারই বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে৷ প্রত্যেক অফিস আমরাই ঘেরাও করব৷ শুধু এখানেই থেমে থাকব না, ঘেরাওয়ের পর অফিসে তালাও ঝুলিয়ে দেব, সতর্ক করে দেন খাদ্যমন্ত্রী৷