বিএড ও ডিএলএড এককালীন ছাড়ের টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ অক্টোবর৷৷ শান্তিপূর্ণভাবেই টেট-১ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বিএড এবং ডিএলএড এককালীন ছাড় দিয়ে ওই টেট পরীক্ষায় আজ ৬৫,০৪২ জন আবেদনকারী উপস্থিত ছিলেন৷ উপস্থিতির শতকরা হার ছিল ৮৫.১০ শতাংশ৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, টেট-২ পরীক্ষার মতো শান্তিপূর্ণভাবেই টেট-১ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷


শনিবার তিনি জানান, ত্রিপুরায় ২৫০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে টেট-১ পরীক্ষায় আবেদনকারীরা পরীক্ষা দিয়েছেন৷ মোট ৭৬,৪২৭ জন এই পরীক্ষায় আবেদন জানিয়েছিলেন৷ জেলাভিত্তিক তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, ধলাই জেলায় ৩০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫,৫২৯ জন, গোমতি জেলায় ২৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮,৬৫৪ জন, খোয়াই জেলায় ২৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৭,৪১৪ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬,৫৩৭ জন, সিপাহিজলা জেলায় ২৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ৯,৬৬২ জন, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০,১৫৬ জন, ঊনকোটি জেলায় ১৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪,৭৫৫ জন এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সর্বাধিক ৬৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২৩,৭২০জন আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে উপস্থিতির হার ধলাই জেলায় ৮১.১৪ শতাংশ, গোমতি জেলায় ৮৫.৫১ শতাংশ, খোয়াই জেলায় ৮৭.০৫ শতাংশ, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৮৫.৮৮ শতাংশ, সিপাহিজলা জেলায় ৮৬.৭৯ শতাংশ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৮৬.৮২ শতাংশ, ঊনকোটি জেলায় ৮৫.০৩ শতাংশ এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৮৩.৬৬ শতাংশ৷


এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উপস্থিতির হারে দক্ষিণ ত্রিপুরা সমস্ত জেলাকে ছাপিয়ে গেছে৷ তেমনি ধলাই জেলায় উপস্থিতির হার সবচেয়ে কম ছিল৷ তবুও শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ তিনি জানান, ২০১৫ সালে টেট-১ পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৮৬.৬৮ শতাংশ৷ তেমনি ২০১৬ সালে ৮০.৯৭ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৮০.৯৮ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে সেপ্ঢেম্বরে ৮২.২৯ শতাংশ ও ডিসেম্বরে ৮৪.৭৫ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল৷


বিগত দিনের পাশের হারের এক তথ্য তিনি তুলে ধরেছেন৷ তাঁর কথায়, ২০১৫ সালে ১১ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৮ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২৭ শতাংশ এবং ২০১৮ সালের সেপেম্বরে ২২ শতাংশ ও ডিসেম্বরে ৮ শতাংশ আবেদনকারী যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করেছেন৷


প্রসঙ্গত, আজ ত্রিপুরায় আটটি জেলায় বেলা সাড়ে বারোটা থেকে টেট-১ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল৷ বিকেল তিনটায় পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি টিআরবিটি, রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *