এথেন্স, ২১ জানুয়ারি (হি. স.) : দেশের নতুন নামকরণ নিয়ে বিবাদ ইউরোপের দুই রাষ্ট্র গ্রীস ও মেসিডোনিয়ার মধ্যে । । চুক্তি অনুযায়ি দেশের নতুন নাম মানতে নারাজ মেসিডোনিয়ার অধিকাংশ মানুষ৷ প্রতিবাদে প্রতিবেশী এথেন্সের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করল মেসিডেনিয়ার বাসিন্দারা৷ গাড়ি আটকে, আগুন জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ৷ আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে জখম হন পাঁচ পুলিশকর্মী৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় দু’হাজার নিরাপত্তারক্ষী৷ বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়৷ সিল করা হয়েছে গ্রীস মেসিডোনিয়া সীমান্ত৷দু দেশের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সাংস্কৃতিক বিবাদ চলেছে বহুদিন ধরেই । ইউরোপের রাষ্ট্র মেসিডোনিয়ার নাম হবে প্রজাতান্ত্রিক উত্তর মেসিডেনিয়া৷ পূর্বতন ইয়োগোশ্লাভিয়া ভেঙ্গে যখন মেসিডোনিয়া আলাদা রাষ্ট্র হয়, তখন থেকেই নাম নিয়ে তাদের সঙ্গে গ্রীসের তীব্র বিরোধ চলছে। গ্রীসের আপত্তির কারণ হল, সে দেশের উত্তর অংশে একটি রাজ্যের নামও মেসিডোনিয়া।

একই নামের কারণে সেখানে সীমানা নিয়ে বিরোধ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রীসের৷ এই আপত্তরির কারণেই মেসিডোনিয়া এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে বা নেটো জোটের সদস্য হয়ে উঠতে পারেনি৷ বিবাদ চরমে পৌঁছয় মেসিডোনিয়ানরা যখন তাদের রাজধানী স্কোপিয়ের বিমানবন্দরটি প্রাচীন গ্রীক বীর আলেক্সান্ডারের নামে রাখে, সেটি দুদেশের মধ্যে আরও বিবাদ তৈরি করে। এই বিবাদ মেটাতে গ্রীস ও মেসিডোনিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ যাতে স্থির হয় মেসিডোনিয়ার নতুন নাম হবে ‘রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়া’।নাম পরিবর্তনের ফলে ‘নর্থ মেসিডোনিয়া’ ইউরোপীয় ইউনিয়নে এবং নেটো জোটের সদস্য হতে পারবে৷ চুক্তিতে স্পষ্ট করা হয় উত্তর মেসিডোনিয়ার সঙ্গে প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার কোন সস্পর্ক নেই এবং তাদের ভাষা আসলে স্লাভ ভাষাগোষ্ঠীর অংশ, এর সঙ্গে গ্রীক ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই চুক্তি মানতে নারাজ মেসিডোনিয়ার মানুষ৷ তাদের দাবি গণভোটের মাধ্যামে দেখা হোক মেসাডোনিয়ার মানুষ এটা চায় কিনা৷ দাবিপূরণ না হওয়ায় এদিন গ্রীক পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন মেসিডোনিয়ানরা৷ গাড়ি আটকে, আগুন জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ৷ আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে জখম হন পাঁচ পুলিশকর্মী৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় দু’হাজার নিরাপত্তারক্ষী৷ বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়৷ সিল করা হয়েছে গ্রীস মেসিডোনিয়া সীমান্ত৷